পুস্তক শিল্পকে বাঁচাতে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হবে
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পুস্তক শিল্প এমন একটি শিল্প যেটি জাতিকে আলোকিত করার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সৃজনশীল এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হবে। বর্তমান সরকার করোনা মহামারিকালে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার ওপর প্রণোদনা দিয়েছে। পুস্তক শিল্পকে এ প্রণোদনার আওতায় আনার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হবে। তাছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সরকারিভাবে পুস্তক ক্রয়ের অর্থ চার কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকায় বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সম্ভব হলে উপযোজন করে মন্ত্রণালয়ের অব্যয়িত অর্থ থেকেও পুস্তক ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বাংলাবাজারস্থ বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কার্যালয়ে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থতালিকা’ -র প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি পুস্তক শিল্প খাতে প্রতিনিধিত্বকারী দেশের বৃহত্তম সংগঠন। শতবর্ষী এ সংগঠনের ৬৪ জেলায় অফিস ও কমিটি রয়েছে। এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়নে সংগঠনটির ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এসময় তিনি বাপুসকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং মানসম্পন্ন বই প্রকাশ ও বিক্রির আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির উপদেষ্টা ওসমান গণি, সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন, সিনিয়র সহ সভাপতি কায়সার-ই-আলম প্রধান ও সহ-সভাপতি শ্যামল পাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম।
পিএসডি/এসএসএইচ