দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘকে প্রস্তাব পাঠানোর অনুরোধ করেছে।

রোববার (১৪ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আমরা দুই পক্ষই জোর দিয়েছি। আমরা বলেছি, আপনারা একটা প্রস্তাব পাঠান। অবশ্যই আমরা সেই প্রস্তাব দেখব।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে আনিসুল বলেন, আলাপ হয়েছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ফ্রিডম অব প্রেস এবং ফ্রিডম অব স্পিস নিয়ে। আলাপ হয়েছে ট্রেনিংয়ের ব্যাপারেও। অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ১ সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজিতে চাল 

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদ মৃত্যুর প্রসঙ্গ আলোচনায় এসেছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, আলাপ হয়েছে মুশতাকের মৃত্যু সম্পর্কে। তার প্রশ্নের পর আমি মুশতাকের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পড়ে শুনিয়েছি। তারপরে তিনি আর প্রশ্ন করেননি।  

বাংলাদেশ মানবাধিকার ইস্যুটি বেশ মূল্যায়ন করে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সবশেষে আমি যেটা শক্তভাবে তুলে ধরেছি সেটা হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানবাধিকারকে সাংঘাতিক মূল্য দেয় বাংলাদেশ। তার কারণ হচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের একজন ভিকটিম হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ মানবাধিকার বিষয়ে সবসময়, বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকার মানবাধিকারকে সবসময় সমুন্নত রাখবে এবং আইন দ্বারা যেকোনো ভায়োলেশন বন্ধ করা যায়, সেই ব্যাপারে সক্রিয় থাকবে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কি না, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, কোনো উদ্বেগ ছিল না, এটা আলোচনার মধ্যে আসছে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে অবজার্ভেশন কি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা ব্যাচেলেট বলবেন, আমি বলব না।

এনআই/এসকেডি