বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইনের সংশোধিত খসড়া প্রসঙ্গে প্রেস কাউন্সিলের ব্যাখ্যা দেওয়াকে সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নীতিগতভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত চূড়ান্ত খসড়ায় অংশীজনের মতামতের প্রতিফলন হয়েছে কি না, তা মূল্যায়নের সুযোগ না থাকায় আইন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বুধবার (২৪ আগস্ট) টিআইবির পক্ষে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে সময় উল্লেখ করে ও প্রেস কাউন্সিল আইনের সংশোধনীর খসড়ার অগ্রগতি উল্লেখ করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল বিবৃতি দিয়েছে। এছাড়া প্রেস কাউন্সিল খসড়া প্রণয়নের আগে দেশবরেণ্য সাংবাদিকসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলে প্রেস কাউন্সিলের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টাকে আমরা প্রতিষ্ঠানটির সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করতে চাই।

ড. জামান বলেন, ২০২০ সালে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রেস কাউন্সিল আইনের চূড়ান্ত খসড়া প্রণীত হলেও, সেই খসড়া গত আড়াই বছরেরও বেশি সময়ে অংশীজনকে প্রদান বা জনসমক্ষে উন্মুক্ত করেনি প্রেস কাউন্সিল। ফলে এ বছর ২০ জুন মন্ত্রিপরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত ওই খসড়ায় অংশীজনদের মতামত, প্রত্যাশা বা উদ্বেগের সঠিক প্রতিফলন ঘটেছে কি-না তা নিশ্চিত করার কোনো সুযোগই দেওয়া হয়নি। যা স্পষ্টতই প্রেস কাউন্সিল সংশোধিত আইন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় ব্যত্যয় ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সংশোধিত আইন জাতীয় সংসদে উত্থাপনের আগে চূড়ান্ত খসড়াটি অবিলম্বে অংশীজন ও জনস্বার্থে প্রকাশ করার উদ্যোগ নেবে। পাশাপাশি সাংবাাদিক, সংবাদপত্রসহ সব অংশীজনের মতামত ও সুপারিশ যে সঠিকভাবে চূড়ান্ত খসড়ায় গৃহীত হয়েছে- তা নিশ্চিতে প্রেস কাউন্সিলের যথাযথ উদ্যোগের প্রত্যাশা করছি।

আরএম/এসএম