গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার সভাপতি শেখ কবির হোসেন।

বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাধারণ সম্পাদক শ্রী শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন আমাদের প্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি একটি দেশ আমাদের উপহার দিয়েছেন। মহান এ মানুষকে ষড়যন্ত্রকারীরা নিষ্ঠুরভাবে মেরে ফেলে। তাকে জানাজা ছাড়াই কবর দিতে চেয়েছিল খুনিরা। খুনিরা জানাজা ছাড়াই দাফন করতে গেলে মওলানা হামিদ তা হতে দেননি। এরপর বঙ্গবন্ধুকে ৫৭০ সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে মার্কিন থান কাপড় পরিয়ে কবর দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৬ আগস্ট এক বিদেশি সাংবাদিক বলেছিলেন, এ বঙ্গবন্ধুই একদিন বাংলাদেশে স্বমহিমায় ভাস্বর হবেন। শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করবে। আজ সেই সাংবাদিকের কথার প্রমাণ হয়েছে। সারাবিশ্ব বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে আসছে।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছরের জীবনের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৪ বছর জেল খেটেছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট জয়ী হলে বঙ্গবন্ধু কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। দক্ষ সংগঠক হিসেবে বাঙালির কাণ্ডারি হিসেবে ১৯৬৬ সালে ছয় দফার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতাই ঘোষণা করেন। 
 
আরএইচ