তামাকমুক্ত করার পাশাপাশি বিকল্প কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তামাকমুক্ত করতে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে পারলেই আমরা অর্ধেক লড়াই জিতে যাব। পাশাপাশি বিকল্প কর্মক্ষেত্রও তৈরি করতে হবে।
রোববার (২৮ আগস্ট) ঢাকা আহছানিয়া মিশনের আয়োজনে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের সহযোগিতায় সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, আমি যে এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে এসেছি, সে এলাকায় অনেক মানুষ বিড়ি তৈরি করেন। সেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করেন। এখানে অনেক মানুষের জীবিকা জড়িত। আমি অনেক চেষ্টা করছি, তারা যেন এই কাজ থেকে বেরিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরে চলে আসেন। তারা অনেকে এসেছেনও। তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, যাকে মুক্ত করতে হবে তাকে এসেনশিয়াল পণ্য তালিকায় রাখার তো প্রয়োজন নেই। সিগারেট পণ্য হিসেবে একদিকে গুরুত্বপূর্ণ, অপরদিকে মানুষের জন্য ক্ষতিকর। একদিকে অনেকে বলছেন অর্থনীতিতে এর গুরুত্ব রয়েছে, অন্যদিকে বলা হচ্ছে তামাকমুক্ত করার কথা। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে এসে একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তামাকের খারাপ দিকটি বাদ দিয়ে কোনো ভালো গুণ আছে কি না, বা এখান থেকে কোন ওষুধ তৈরি করা যায় কি না সে বিষয়ে এখন ভাবা যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী আরও বলেন, আমিও ৫০ বছর ধরে ধূমপান করেছি। গত তিন বছর তা বন্ধ করেছি। এখন ভাবি, এই সময়ে বিষাক্ত ধোঁয়ার মাধ্যমে কত ক্ষতি করেছি। তামাকের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা তো কেবল টাকার হিসাবে হয় না। কত জীবন থেমে যাচ্ছে। এগুলো আলোচনায় আনা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী তামাক নিয়ন্ত্রণে যে আইন করার কথা বলেছেন। আমার অবস্থান থেকে শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করব। যেখানে যতটা প্রয়োজন, আমার পক্ষ থেকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যতটা সাহায্য প্রয়োজন, ততটা করব। শুধু তামাক নয়, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দ্রুত পরিবর্তন ও বাস্তবায়নের দাবি জানান উপস্থিত বক্তারা। এ ছাড়া, অবিলম্বে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন করে সিগারেটকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মো মোখলেছুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হকসহ বিশিষ্টজনেরা।
আইবি/আরএইচ