একজনের ২৯টি বই থাকা অশোভনীয় : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য বই কেনার তালিকায় একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই থাকাকে ‘অশোভনীয়’ উল্লেখ করে তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন কর্মকর্তা যিনি এ দায়িত্বের মধ্যে ছিলেন তার ২৯টি বই থাকবে কেন? এটি অশোভনীয়। আমি নিজে বলছি যে, এটি ঠিক হয়নি। এটি নিয়ে আমরা বসব। তদন্ত করে দেখে সুন্দর ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, ১ হাজার ৪৭৭ বইয়ের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু কোথাও বাধ্য করা হয়নি যে এই বইগুলো কিনতে হবে। এটির আলোকে বা বিবেচনায় রেখে কিনতে বলা হয়েছে। যে কর্মকর্তা এটি করেছেন তিনি ঠিক করেননি। কিন্তু আমরা যতটুকু জেনেছি তার বইগুলো কেনা হয়নি, তবে নামগুলো আছে। কেনা হয়েছে সেরা বইগুলো, যেগুলো জগৎ বিখ্যাত ও আমাদের দেশের ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা এবং সুপাঠ্য উপন্যাস কেনা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত সচিবের ২৯ বই : বৈঠকে বসবে মন্ত্রণালয়
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আজ আমার নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমি মানুষকে জিজ্ঞেস করেছি তার বই কেউ কিনেছেন কি না। কেউ তার বই কেনেননি। সচিব বললেন যে ঢাকাতেও কিন্তু তার বই কেনা হয়নি। যে বইগুলো পাঠক সৃষ্টি করবে সেই বইগুলো কিন্তু কেনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্কিমচন্দ্রও কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। সেক্ষেত্রে তার লেখা বইও আছে। এ রকম আরও অনেক কর্মকর্তা আছে যাদের বইগুলো খুবই ভালো। যেমন মোবাইল কোর্ট আইনের ওপর বই আছে, ভূমি আইনের ওপর বই আছে, আয়করের উপর অনেক ভালো বই আছে। সেটা যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তার হয় এখানে অসুবিধার কোনো কারণ নেই।
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের ‘জ্ঞানচর্চা ও পাঠাভ্যাস’ বাড়ানোর জন্য বই কিনতে ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এজন্য ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের তালিকা দেওয়া হয়েছে, যাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের ২৯টি বই রয়েছে।
এইচআর/আরএইচ