অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু নিয়ে পানি ঘোলার চেষ্টা চলছে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একটি মহল পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। অতীতেও পানি ঘোলা করার চেষ্টা হয়েছে এবং এতে কোনো লাভ হয়নি, এবারও কোনো লাভ হবে না। সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রেসক্লাবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ছাত্রদল পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। হাজার হাজার ইট-পাথরের টুকরো তারা পুলিশের ওপর নিক্ষেপ করেছে। প্রেসক্লাবে আমি নিয়মিত যাই, সেখানে তো কোনো পাথরের স্তূপ নেই, তার মানে এগুলো আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের ঘটনা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকদের বা প্রেসক্লাবের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিজ্ঞাপন
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো উচিত না। প্রেসক্লাব একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান, প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান, প্রেসক্লাব নিরপেক্ষ জাতীয় প্রতিষ্ঠান। সব রাজনৈতিক দল, মত ও পথের জন্য এটি উন্মুক্ত। সুতরাং সেখান থেকে যদি পুলিশের ওপর হামলা হয়, লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করা হয় সেটা খুবই অনভিপ্রেত।
তিনি বলেন, এটিএন বাংলার একজন সাংবাদিক ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন, তারা (ছাত্রদল) তো প্রথম দোষী। এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক, এটি হওয়া অনুচিত। কেউ যেন এভাবে প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
লেখক মুশতাক আহমেদ এক ধরনের ড্রাগ ব্যবহার করতেন বলে কারাসূত্র বলছে, এর কোনো প্রভাব তার মৃত্যুর ক্ষেত্রে পড়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ওনার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সেটা তো আমি জানি না, এর জন্য একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে উনি কোনো ড্রাগ ব্যবহার করতেন কি না। তবে এ মৃত্যুর জন্য আমি নিজেও ব্যথিত। এটি অবশ্যই অনভিপ্রেত।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশে এ ধরনের আইন হয়েছে কিংবা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতেও এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার করা হয় এবং শাস্তির বিধান করা হয়। তবে অবশ্যই এ আইনের যাতে কোনো অপব্যবহার না হয়, সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
৫০০ কোটি টাকায় ঘুরে দাঁড়াবে সিনেমা অঙ্গন
চলচিত্র প্রদর্শন শিল্পের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এর ফলে সিনেমা অঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এখানে অনেকেই বিনিয়োগ করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৫০০ কোটি টাকার এ তহবিল হলো একটি প্রণোদনা প্যাকেজ বা লোন। তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে এ লোন বিতরণ করা হবে। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বল্প সুদে ও সার্ভিস চার্জে অর্থ শিডিউল ব্যাংকে দেবে। তখন শিডিউল ব্যাংক এর সঙ্গে তাদের পরিচালনা ব্যয় যুক্ত করে জেলা শহর ও উপজেলায় সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ভোক্তাদের কাছে এই ঋণ বিতরণ করবে।
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরে ৫ শতাংশ সুদে এই ঋণ বিতরণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৮ বছরের মেয়াদে এক বছরের গ্রেজ পিরিয়ডে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চাহিদার ভিত্তিতে প্রয়োজনে দেড় হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়াতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখান থেকে ঋণ শুধু তারাই পাবে যারা সিনেমা হল সংস্কার করতে চায়, বন্ধ সিনেমা হল পুনরায় চালু করতে চায় অথবা নতুন সিনেমা হল বানাতে চায়। একইসঙ্গে কোনো মার্কেটের ভেতরে যদি কোনো সিনেপ্লেক্স করতে চায় সেক্ষেত্রেও এ ঋণ দেওয়া হবে।
এসএইচআর/আরএইচ