ফিলিপাইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান
ফিলিপাইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ম্যানিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকরে (এডিবি) সদর দপ্তরে বার্ষিক সভার অংশ হিসাবে অর্থমন্ত্রী সঙ্গে স্বাগত দেশ ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
মুস্তফা কামাল বলেন, ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, যারা ১৯৭২ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ সভায় স্বাধীন বাংলাদেশের দ্রুত স্বীকৃতির এবং জাতিসংঘের সদস্যপদ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল ফিলিপাইন। এ জন্য অর্থমন্ত্রী ফিলিপাইনের প্রতি ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইন ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ করেছে। আমরা দুই দেশের মধ্যে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের দৃঢ়ভিত্তির উপর দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে যৌথ কৌশল প্রণয়ন করতে পারি। যা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থাপন করেছিলেন। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে টোকিও থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ফিলিপাইনের বন্ধুপ্রতীম জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ম্যানিলা হয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ এবং ২০০৪ সালে ফিলিপাইন সফর করেন এবং ১৯৯৭ সালে রাষ্ট্রপতি ফিদেল রামোস বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা এখনও পুরোপুরি উন্মোচিত হয়নি। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ এখন মাত্র ১০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দুই দেশের মধ্যে অবিলম্বে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো আরও জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে ওষুধ, কৃষি পণ্য, হালকা প্রকৌশল, পাট এবং পাটজাত পণ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় পক্ষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা, নার্সিং এবং আইটি ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে লাভবান হতে পারে। অভিবাসী কর্মীদের সহযোগিতা, উচ্চশিক্ষা, সামুদ্রিক সহযোগিতা ও কৃষি সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, যৌথ কমিশন প্রতিষ্ঠা, মিডিয়া সহযোগিতা, দুর্নীতি প্রতিরোধসহ বেশ কিছু সমঝোতা চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও অর্থবহ এবং সারগর্ভ করার জন্য এগুলো চূড়ান্তকরণের প্রতি অর্থমন্ত্রী জোর দেন।
এসআর/এসকেডি