২৯৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন: জি কে শামীমের বিরুদ্ধে চার্জশিট
এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম/ফাইল ছবি
জি কে বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী কথিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনুমোদিত চার্জশিটে তাদের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তা আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানা গেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয় মামলায়। দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মা ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, শামীম ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক। এছাড়া শামীমের বাসা থেকে উদ্ধারকরা নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআরবাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
দুদকের তদন্তে জি কে শামীমের মা আয়েশা আক্তারের কোনো বৈধ আয়ের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা ও দন্ডবিধি ১০৯ ধারা এবং মানিল্ডারিং আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।
শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২২টি মামলা দায়ের করে দুদক।
কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিমের অপর সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।
আরএম/এসএম