বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধন
জাতীয় ভোটার দিবস উদ্বোধন অনুষ্ঠান
বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ‘জাতীয় ভোটার দিবস-২০২১’ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাসহ অন্য চার কমিশনার এই দিবসের উদ্বোধন করেন। তৃতীয়বারের মতো দেশে পালন করা হচ্ছে দিবসটি।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অ.) মো. শাহাদাত হোসেন, ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ইসির যুগ্ন-সচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর করোনা মহামারির কারণে সীমিত পরিসরে ভোটার দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এবারের ভোটার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বয়স যদি আঠারো হয়-ভোটার হতে দেরি নয়’। জাতীয় ভোটার দিবসে ২০২০ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
তিনি জানান, ভোটার দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে ভোটার দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে এবং নির্বাচন কমিশনাররা বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া বিকেল তিনটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়েও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে নির্বাচন ভবন ও মাঠপর্যায়ের অফিস ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে এবং ভবনের সামনের রাস্তায় ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে।
যুগ্ন-সচিব এস এম আসাদুজ্জামান আরও জানান, ঢাকাসহ আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা/থানা পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা, প্রিন্ট মিডিয়ায় বিশেষ ক্রোড়পত্র ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ, গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনীয় স্থানে ব্যানার ঝোলানো ইত্যাদি। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব বাণী দিয়েছেন।
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পদযাত্রায় নতুন একটি সংযোজন হচ্ছে জাতীয় ভোটার দিবস। ২০১৩ সালে সার্কভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন বিষয়ক সংগঠন ফেমবোসার চতুর্থ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সদস্য দেশগুলো জাতীয়ভাবে ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই মূলত জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের চিন্তাভাবনা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জাতীয়ভাবে ভোটার দিবস উদযাপনের একটি প্রস্তাব কমিশন সভায় উপস্থাপন করে। কমিশন প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিতে গ্রহণ করেন এবং নীতিগতভাবে জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের প্রস্তাবটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হলে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় তা সরকারের অনুমোদন পায়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে সময় প্রতিবছরের ১ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ১ মার্চের পরিবর্তে ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
এসআর/জেডএস