আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষই ছাত্রাবাসের বেশ কয়েকটি রুম ভাঙচুর করে। 

মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকেলে চমেকের প্রধান ছাত্রবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রাবাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের সঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে এ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। দুই পক্ষই এর জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছেন। এই ঘটনায় হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।

সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি রুম ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ছাত্রাবাসের জিনিসপত্র, বই, চেয়ার বাইরে পরে থাকতে দেখা যায়।এছাড়া দুটি পক্ষই পাল্টাপাল্টি শ্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে চমেক ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক এসে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে থামানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত কোনো পক্ষই সমাধানে আসেনি। পুরো ছাত্রাবাস এলাকা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কেএম/ওএফ