খাল খননের ৯৭ লাখ টাকা পকেটে
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দায়সারাভাবে খনন করা খাল/ ছবি: ঢাকা পোস্ট
দায়সারাভাবে খাল খননের কাজ করেই বরাদ্দের ৯৭ লাখ টাকা হয়েছে লুটপাট। দেখা যাচ্ছে, খাল খননের কাজের কাজ তো কিছু হয়নি, বরং খাল কাটার আগে যতটুকু পানি পাওয়া যেতো তাও পাচ্ছে না জনগণ। চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার গন্দ্রপুর থেকে নরিংপুর বাজার পর্যন্ত খাল খননে এই অনিয়ম হয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে প্রমাণ মিলেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় কুমিল্লার ঠিকাদার মশিউর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিলেছে এমন দুর্নীতির প্রমাণ। আজ (মঙ্গলবার) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাৎ-এর নেতৃত্বে একটি টিম ওই অভিযান পরিচালনা করে। দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আজকের অভিযানে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম ঘটনাস্থল গন্দ্রপুর থেকে নরিংপুর বাজার পর্যন্ত খাল সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এসময় শাহরাস্তি উপজেলার উত্তর সূচিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা টিমকে জানায়, গন্দ্রপুর থেকে নরিংপুর পর্যন্ত খাল খননের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ডাকাতিয়া নদী থেকে যাতে সরাসরি পানি খালে প্রবেশ করে। যাতে খালের উভয় পাশে আবাদযোগ্য জমি ও নিষ্কাশন কার্যক্রম যথাসময়ে করা যায়। মোট ৮.৬ কি.মি. খাল পুনঃখনন কাজের জন্য ১ কোটি ৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
গন্দ্রপুর থেকে নরিংপুর পর্যন্ত খাল খননের কাজ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়। কিন্তু গন্দ্রপুর বাজার থেকে ধামড়া ব্রিজ পর্যন্ত আনুমানিক ৪ কি. মি. মাটির কাজ সঠিকভাবে হলেও অবশিষ্ট কাজে শুধু জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়েছে। দুদক টিমকে স্থানীয় জনগণ জানায়, খাল খননের কাজ তেমন হয়নি।
বিজ্ঞাপন
অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনের জন্য সরেজমিনে খাল পরিদর্শন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাতপূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ, পরীক্ষা ও তথ্যানুসন্ধান করেছে দুদক টিম। সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও তথ্য প্রমাণসমূহ বিস্তারিত পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।
আরএম/এনএফ/এফআর