গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে যারা কালো আইন করেছে তাদের বিচার করা হবে
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন করতে ও প্রহসনের খবর যেন প্রকাশ না হয় সেজন্য ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে পরিকাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে। বলা হয়েছে যারা এটি লঙ্ঘন করবে তাদের আইন লঙ্ঘনের অজুহাতে দণ্ড দেওয়া হবে। যারা এই ধরনের কালো আইন করেছে তাদের বিচার করা হবে। তা না হলে দেশের মানুষের প্রতি সামাজিক ন্যায়বিচার করা হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম নিপীড়নে ২৯ প্রতিষ্ঠানকে তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা ও প্রেস কাউন্সিলের আইন সংশোধনের প্রতিবাদে বিএফইউজে ও ডিইউজে (একাংশ) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শওকত মাহমুদ বলেন, সরকার ও লুটেরাদের দুর্নীতি চাপা দিতে এই আইন। আমরা আইন বাতিলের দাবি জানাবো না সরকারের কাছে। সরকার পতনের পর আমরা আগামীর তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বলব এ ধরনের আইন জারি রেখে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অনুরোধ জানাব তারা এসেই যেন আইনটি বাতিল করে না দেন। বিগত সরকারের এই আইনের বিরুদ্ধে যারা সত্য প্রকাশ করেছে সেসব সাংবাদিকদের যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হয়। এমন একটি সংশোধনী আনতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন : শপ ওনার্স অ্যান্ড বিজনেসম্যান সোসাইটির আত্মপ্রকাশ
প্রেস ক্লাবের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে একটি আইন আছে— যারা আওয়ামী লীগ করবে ও তাদের সঙ্গে থাকবে এবং আওয়ামী লীগের রক্ত যাদের দেহে প্রবাহিত তাদের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যাবে না সংবাদপত্রে। রাজপথের বিকল্প নেই এই সরকারের পতনে।
বিএফইউজের একাংশের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, সাংবাদিকরা যেন তথ্য প্রকাশ না করতে পারে সেজন্য ২৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই পরিপত্র জারি করা হয়েছে। কোনো পরিপত্র ক্ষমতার মসনদে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। প্রেস কাউন্সিল সংবাদপত্র বাতিলের প্রতিষ্ঠান নয়। এটি হলো সংবাদপত্রের অধিকার রক্ষার প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, বাংলার মানুষ আজ বিদ্যুৎ পায় না। দিনের অর্ধেক সময় মানুষকে অন্ধকারে থাকতে হয়। রাজপথে নামতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকব।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাংবাদিকরা। মিছিলটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের ভেতরে এসে শেষ হয়।
বিএফইউজে (একাংশ) সভাপতি এম আবদুল্লাহ এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ডিইউজের (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা মোরসালিন নোমানী, খুরশিদ আলম প্রমুখ।
আইবি/এসএসএইচ