রাজধানীতে দেড় হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ/সংগৃহীত

রাজধানীতে প্রায় দেড় হাজার কেজি জাটকা ইলিশ ও ২৫০ কেজি জেলি দেওয়া চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। এসময় তিনজনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোয়ারিঘাট মৎস্য আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় এসব মাছ জব্দ করা হয়।

ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদসহ জেলার নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মো. জামাল উদ্দিন এ অভিযান পরিচালনা করেন। জব্দ করা মাছগুলোর মধ্যে যেগুলো খাওয়ার উপযোগী সেসব মাছ এতিমখানা ও মাদরাসায় বিতরণ করা হয়।

অভিযানের কথা ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ। তিনি অভিযানের মূল উদ্দেশ্য তুলে ধরে এ প্রতিবেদককে জানান, জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এবং নিরাপদ মাছ সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ অনুযায়ী অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে এক হাজার ৫৯৬ কেজি জাটকা ইলিশ ও ২২০ কেজি জেলি দেওয়া চিংড়ি জব্দ করা হয়।

মামুনুর রশীদ আরও জানান, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি রাজধানীবাসীকে নিরাপদ মাছ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। আজকের অভিযানটি অনেক বড় ছিল। গোপন সূত্রে আমরা খোঁজ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করি।

অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের কোয়ারেন্টাইন অফিসার মামুনুর রশিদ চৌধুরী, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা জামাল উদ্দিনসহ মৎস্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রতি বছরই ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার নেপথ্যে অন্যতম ভূমিকা রাখছে মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ। আর এই জাটকা সংরক্ষণে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন কার্যক্রমও চালছে। প্রতিবছরই এরকম বড় অভিযান চালিয়ে জাটকা ইলিশ বিক্রেতাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়। এর সুফলও মিলছে বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

একে/ওএফ