টেলিভিশন শিল্পীদের জন্য আলাদাভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। 

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে টেলিভিশন শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কুশলীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে আলোচনাও করেছি কয়েক দফায়। যেহেতু এটি জাতীয় বিষয়, এককভাবে আমাদের মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। টেলিভিশন একটি বড় মাধ্যম—চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়, টেলিভিশনের দেওয়া হয় না।  

বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন বানানোর লাগাম টেনে ধরার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভিনয় শিল্পীদের কথা মাথায় রেখেই আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা অচিরেই তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। 

তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান অভিনয়শিল্পী আছেন, বিজ্ঞাপন নির্মাতাও আছেন। অতীতে আমাদের দেশের নির্মাতারাই অনেক ভালো বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন। যেগুলোকে শুধু পণ্যের বিজ্ঞাপন বলা যাবে না, এগুলো মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিত, মানুষের মধ্যে ভাবনার জন্ম দিতো, ৩০ বা ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই সেটিকে উপস্থাপন করা অনেক মুনশিয়ানার কাজ। সেটি আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন নির্মাতারা বানিয়েছেন। শিল্পীরা অভিনয় করে দেখিয়েছেন। এরপরেও ইদানীং আমরা একটি প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি, সব বিজ্ঞাপন চিত্রই যতটা সম্ভব বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বানিয়ে আনা এবং বিদেশি বিজ্ঞাপন ডাবিং করে বাংলাদেশে প্রদর্শন করা হচ্ছে। আমরা সেটির লাগাম টেনে ধরতে চাই। সে জন্য এরই মধ্যে আমরা প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। আরও একটি নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে, তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে। 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের শিল্প ও শিল্পী—দুটোই যাতে উপকৃত হয়, সেজন্য আমরা এ পদক্ষেপ নিচ্ছি। এছাড়া বাংলাদেশে টেলিভিশনে গত কয়েক বছর ধরে বিদেশি সিরিয়াল কিনে এনে ডাবিং করে সম্প্রচার করা হয়। আমরা সেটার লাগাম টেনে ধরেছি। এ কাজ প্রথমে দুয়েকটি চ্যানেল শুরু করেছিল, পরে তা অনেকগুলো চ্যানেল করেছে। একটির বেশি (বিদেশি) সিরিয়াল কোনো টেলিভিশন চালাতে পারবে না। কিন্তু আমরা একেবারে বন্ধ করছি না, পৃথিবী এখন মুক্তবাজার অর্থনীতিতে চলছে। এখন আকাশ উন্মুক্ত । কাজেই এমন পরিস্থিতিতে একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল কোনো টেলিভিশন চালাতে পারবে না। ইতিমধ্যে তা আমরা কার্যকর করেছি।

বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। সে উদ্দেশ্য নিয়েই তারা আন্দোলন আন্দোলন খেলার চেষ্টা করছে। যদিও জমাতে পারছে না। কারণ হচ্ছে, তারা এর আগেও চেষ্টা করেছিল খালেদা জিয়া অসুস্থ বিদেশ না নিলে মারা যাবেন; এটি বলে জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি। 

এসএইচআর/এসকেডি