গৃহশ্রমিকদের জন্য শোভন কাজ সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন ১৮৯ অনুসমর্থনের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, বিচারহীনতার কারণে দোষীরা বার বার গৃহশ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের সাহস পায়। যদি এসব ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে আর কেউ গৃহশ্রমিকদের নির্যাতনের সাহস দেখাবে না।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক আয়োজিত র‌্যালি ও মানববন্ধনে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা এ দাবি জানান।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল হোসাইন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন, হত্যা, ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। ‘বিলস’ এর জরিপ অনুযায়ী ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন গৃহশ্রমিক হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। 

তিনি বলেন, দেশব্যাপী গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষায় প্রণীত ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ বাস্তবায়ন না হওয়ার দেশে একের পর এক গৃহশ্রমিকের মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। 

বক্তারা আইএলও কনভেনশন-১৮৯ অনুসমর্থন করাসহ সারাদেশে গৃহশ্রমিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় 'গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫' বাস্তবায়ন, শ্রম আইনে গৃহশ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা, গৃহশ্রমিকদের মামলায় সরকারিভাবে আইনি সহায়তা প্রদান, সব গৃহশ্রমিকের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা, নির্যাতনে নিহত শ্রমিক পরিবার ও আহত শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ব্যয় নিয়োগকারী কর্তৃক বহন করা, নিহত শ্রমিক পরিবার ও আহত শ্রমিকদের স্থায়ী পুনর্বাসন এবং গৃহশ্রমিকদের নির্যাতন থেকে রক্ষা ও প্রকৃত অবস্থা যাচাই করতে নিবন্ধন ও পরিদর্শন কার্যক্রম চালু করার দাবি জানান।

গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে র‍্যালি ও মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সম্পাদক পুলক রঞ্জন ধর, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়কারী আহসান হাবিব বুলবুলসহ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ও নাগরিক সমাজের নেতারা। 

আইবি/এসএম