সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, রবীন্দ্র, নজরুল ও বাউল সংগীতসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এটি চালু হবে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত গবেষণা ক্ষেত্রে অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রশিক্ষণ কক্ষে বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্পী সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত 'বিশ্ব সংস্কৃতিতে বাংলাদেশের বাউল ও লোক-দর্শন' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কে এম খালিদ বলেন, লালন সাঁইজির আগমনের মধ্য দিয়ে বাউল মতবাদের উন্মেষ ঘটে। বাউল সংগীতে সাঁইজি ও গুরুর প্রতি যে শ্রদ্ধা ও মমত্ববোধ দেখা যায়, সংগীতের অন্য শাখায় তেমনটি কম দেখা যায়। ভারতবর্ষ বিশ্বের মধ্যে একটি বৈচিত্র্যময় অঞ্চল। এর ইতিহাস ও ভূগোল উভয়ই বৈচিত্র্যপূর্ণ। বৈচিত্র্যের সেই প্রবাহ এ দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেও লক্ষণীয়। অতি প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার মানুষ মরমিবাদ ও ভাববাদে বিশ্বাসী হয়ে তাদের জীবন পরিচালনা করে আসছে।

বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্পী সংস্থার সভাপতি বাউল শফি মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন করেন ঢাকার চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লিয়েন উই ও বিশিষ্ট লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন। 

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাকলী ধরা মণ্ডল। আলোচনা করেন ফ্রান্সের বিশিষ্ট লালন গবেষক ড. দেবোরা জান্নাত, যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট লালন গবেষক ড. কিথ ই কান্তু, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচী, বিশিষ্ট বাউল গবেষক আবদেল মান্নান প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি