দরপত্রে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে এটুআইয়ের উদ্যোগ
সরকারি অর্থে কোনো পণ্য, কার্য ও সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে এবং ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে এটুআই।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘সাপ্লাইয়ার রিলেশনশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ২০২২’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উদ্যোগের বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
আয়োজকরা জানান, সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীদের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান নেতিবাচক ও ভুল ধারণা দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো দেশের ৮৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে এটুআই। এরই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতেও বিভিন্ন ধাপে দরপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, স্বচ্ছতার মাধ্যমে সরকারি কেনাকাটায় জবাবদিহিতা নিশ্চিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও বিধিমালার সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনেই করা হয়ে থাকে। তারপরও অনেকসময় দেখা যায়, দরপত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠাগুলো প্রকিউরমেন্ট পলিসি, চাহিদা ও টেন্ডারে উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকেন। সেসব দরপত্র প্রিলিমিনারি ও টেকনিক্যাল মূল্যায়নে বাদ পড়ে যায়। এসব পর্যায়ে যাতে টেন্ডার বাদ না পড়ে এবং কার্যাদেশ পাওয়ার জন্য সরবরাহকারীরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করে দরপত্রে উল্লেখিত বিভিন্ন চাহিদার বিপরীতে সঠিক ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দেবেন বলে আশা করি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, পণ্য, কার্য ও সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাস্তবায়ন তথা সরবরাহকারীদের ভোগান্তি হ্রাসে দেশে প্রথমবারের মতো এটুআই আয়োজিত এই মিথস্ক্রিয়া বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। ভবিষ্যতে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও যেন তাদের সরবরাহকারীদের নিয়ে এমন আয়োজন করে সে বিষয়েও এটুআই অবদান রাখবে।
এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, সরকারি অফিসের দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের বিষয়ে দেশের নতুন স্টার্টআপগুলোর খুব বেশি জানাশোনা থাকে না। এজন্য দরপত্র জমাদানের ক্ষেত্রে তাদের কিছু ভুল-ত্রুটি থেকে যায়। এছাড়া, সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটুআইয়ের টেন্ডার পাওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত অর্থের চেয়ে অনেকই কম টাকা উদ্ধৃত করেন। যার কারণে মূল্যায়ন শেষে বিভিন্ন সেবা ও পণ্য সরবরাহের কার্যাদেশ পেলেও এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। টেন্ডার আহ্বানের বিষয়ে এটুআই সবসময় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা চেষ্টা করলেও প্রয়োজনীয় কার্যক্ষমতার অভাবে পুনঃদরপত্র আহ্বান করতে হয়, যা উভয়পক্ষের জন্যই অনেক ঝামেলার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এটুআইয়ের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক, যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ছাইফুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
এএসএস/ওএফ