জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হাংরিনাকি কিনে নিয়েছে আলীবাবা গ্রুপের অঙ্গ সংগঠন ও দেশের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ।
 
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দারাজ ও হাংরিনাকি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিগ্রহণের বিষয়টি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে দারাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদুল হক এবং হাংরিনাকি’র প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা এডি আহমেদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হাংরিনাকি’র সব স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি দারাজ অধিগ্রহণ করেছে। তবে এ কারণে হাংরিনাকি’র বর্তমান ব্যবসায়িক কাজে কোনো প্রভাব পড়বে না। হাংরিনাকি’র সব কর্মীরা ভবিষ্যতেও যথানিয়মে কাজ করে যাবেন। 

সরাসরি দারাজের পরিচালনায় পৃথক ও স্বতন্ত্র ফুড প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচালিত হবে হাংরিনাকি। দারাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়ল মোস্তাহিদল হক বলেন, আমাদের ক্রেতাদের জন্য আমরা একটি ওয়ান স্টপ সল্যুশন হতে চাই। আর স্বাভাবিক পদক্ষেপ হিসেবেই ফুড ডেলিভারি ব্যবসায় প্রবেশ করেছি। একটি বিশ্বস্ত কাস্টমার বেজ নিয়ে হাংরিনাকি বাংলাদেশে ফুড ডেলিভারি ব্যবসায় পথিকৃৎ। আর এ কারণেই আমরা বিশ্বাস করি, একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকে আমাদের নিজেদের ফুড ডেলিভারি ব্যবসা শুরু করার চেয়ে, হাংরিনাকি অধিগ্রহণ করা শ্রেয়। অবকাঠামো, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদে বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা হাংরিনাকি’কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব।

হাংরিনাকি’র প্রধান নির্বাহী এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা এডি আহমেদ বলেন, এটা সবার জন্যই আনন্দদায়ক মুহূর্ত। এ অধিগ্রহণের মাধ্যমে বোঝা যায় আমাদের ই-কমার্স খাত একটি আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও দেশীয় স্টার্ট-আপ এবং উদ্যোক্তাদের জন্য এটি সুখবর বয়ে আনবে। এমন অধিগ্রহণের দৃষ্টান্তই আমাদের বাজারে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করবে এবং অর্থনীতিকে গতিশীল রাখবে। দারাজের সঙ্গে মিলে আমরা হাংরিনাকিকে আরও শক্তিশালী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলব। 

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফুড ডেলিভারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হাংরিনাকি। দেশের পাঁচটি শহরে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট, ক্লাউড কিচেন এবং হোম কিচেন নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি হাজার হাজার গ্রাহককে প্রতিদিন পৌঁছে দিচ্ছে সুস্বাদু খাবার। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ এখন তাদের পছন্দ অনুযায়ী খাবার অর্ডার করতে হাংরিনাকি ব্যবহার করে থাকেন।

অন্যদিকে, দারাজ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস। দারাজ ক্রেতা ও বিক্রেতার সংযোগ ঘটানোর মাধ্যমে লক্ষাধিক বিক্রেতার ক্ষমতায়নে কাজ করছে। শতাধিক ক্যাটাগরির আওতায় কোটিরও বেশি পণ্য পাওয়া যায় দারাজে, যার চাহিদা পূরণে প্রতিমাসে প্রতিষ্ঠানটি দেশের আনাচে-কানাচে ২০ লাখেরও বেশি প্যাকেজ ডেলিভারি দিয়ে থাকে।

এসআর/জেডএস