শাহ আলমের চোরাই সিএনজির কারবার
জব্দ সিএনজি
কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চুরি করা সিএনজি চালিত অটোরিকশা ঢাকায় এনে করা হতো নতুন রঙ। এরপর ভুয়া ডিজিটাল নম্বর প্লেট ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রি হতো ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায়। এভাবে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নিজস্ব গ্যারেজে বসেই চোরাই সিএনজির কারবার চালিয়ে আসছিল শাহ আলম নামের একজন।
চোরাই সিএনজির কারবারের গোপন খবরে ওই গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে পলাতক রয়েছে চক্রের মূলহোতা শাহ আলম। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার দুজন হলেন- ড্রাইভার শাহ আলম (৪২) ও টেকনিশিয়ান মো. জামাল (৩৫)। বুধবার (৩ মার্চ) দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ধোলাইপাড় শাহ আলমের গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, গ্রেফতাররা ও অজ্ঞাত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে লাভের আশায় চোরাই সিএনজি অটোরিকশার ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেট ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রি করে আসছিল।
শেখ ওমর ফারুক বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শাহ আলমের গ্যারেজে চোরাই সিএনজি বিক্রি হয়। সেখানে চোরাই সিএনজি আনার পরে তা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্যারেজের মালিক এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চোরাই সিএনজি কোত্থেকে আসে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই গ্যারেজ থেকে আমরা পাঁচটি সিএনজি জব্দ করেছি। এ সিএনজিগুলো কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকা থেকে চক্রটি সংগ্রহ করেছে। এসব এলাকা থেকে চোরাই সিএনজি প্রথমে ঢাকার কাঁচপুরে আসে। সেখান থেকে সিএনজি চালিয়ে নিয়ে আসা হয় শাহ আলমের গ্যারেজে।
অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, গ্যারেজে আনার পর ভুয়া নম্বর প্লেট দেওয়া হয়। তারপর রঙ করে বিক্রি করা হয়। শাহ আলম গত দুই মাসে ১৫ থেকে ২০টি চোরাই সিএনজি এনে বিক্রি করেছে। এসব চোরাই সিএনজিতে যে নম্বর প্লেট আছে, সেগুলো বিআরটিএর নম্বর প্লেট নয়। তাছাড়া এসব সিএনজির সব কাগজপত্র ভুয়া। একটি থ্রি হুইলার সিএনজির দাম ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা।
ভুয়া নম্বর প্লেটের সিএনজি দিয়ে ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করা সহজ। চক্রটি কীভাবে এই ভুয়া ডিজিটাল নম্বর প্লেট তৈরি করে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে জানা যাবে। এ চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান শেখ ওমর ফারুক।
জেইউ/এসএসএইচ