সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও মওকুফের আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠাবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া।

২৫ মাস কারাভোগের পর গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার ছয় মাসের দণ্ড স্থগিত করা হয়। এরপর সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় দফায় ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে মেয়াদ আগামী ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার এ সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মঙ্গলবার (২ মার্চ) আবেদন করেছেন। একইসঙ্গে দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কি-না সে প্রসঙ্গেও তারা আর্জি জানান।

আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আবেদন আমরা পেয়ে পাঠিয়ে (আইন মন্ত্রণালয়) দিয়েছি।’

এর পরের প্রক্রিয়া, আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়ে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘হ্যাঁ। এখান থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব।’

বুধবার (৩ মার্চ) আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আবার সময়টা (সাজা স্থগিত) এক্সটেনশন (বাড়ানো) করার জন্য, আরও কিছু শর্ত শিথিল করে এক্সটেনশন চেয়েছে। আমরা এখন সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে... উনি যা চেয়েছেন, এটা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।’

আবেদনে তারা কী চেয়েছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শর্ত শিথিল করে করোনাকালীন চিকিৎসা নিতে পারেনি, সেটা জানিয়েছেন এবং তার দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কি-না, সেটা সম্পর্কেও তারা বলেছেন।’ 

সাজা মওকুফের কোনো সুযোগ আইনগতভাবে আছে কি না- জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেটা ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য তারা চেয়েছে, আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। আমি তো আগেই বলেছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় যতখানি সম্ভব সেটুকু ব্যবস্থা করছেন।’

এসএইচআর/এফআর