এখন কোনো অনুষ্ঠানে ৪ ধর্মগ্রন্থ পাঠ হয় না
সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগ পর্যন্ত সব রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান চার ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করে শুরু হতো। এখন আর তা হয় না।
শনিবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ‘আদিবাসীদের আদিবাসী পরিচয়ে স্বীকৃতি দিয়ে ৭২-র বঙ্গবন্ধুর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সামরিকতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্যে। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ হবে ‘রিপাবলিক’। আমরা সংবিধানে সেটা লিখেছিলাম। রিপাবলিক মানে রাষ্ট্র হবে সবার যেখানে ধর্মীয় পরিচয় থাকবে না। কিন্তু আজকের সংবিধান সেটি ধারণ করে না। সামরিক শাসকরা কখনও ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধারণ করেনা। কারণ পৃথিবীর সব দেশে সামরিক শাসকরা বিভক্তি নীতি অনুসরণ করে। বাংলাদেশেও তা-ই হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাম্য, সমতা ও সামাজিক মর্যাদা সুনিশ্চিত হতে পারে না। তা-ই এ লক্ষ্যে কাল বিলম্ব না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিজ্ঞাপন
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বঙ্গবন্ধুর ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র যে দর্শন তা ইতিহাসে ‘অনন্য’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চার ওপর জোর দিয়েছেন এবং একইসঙ্গে বলেছেন ধর্মের পবিত্রতা রক্ষায় রাষ্ট্র ও রাজনীতি থেকে তা দূরে থাকবে। যাতে ধর্মকে কেউ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার না করতে পারে।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশ গুপ্তের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, নাট্যজন মামুনুর রশিদ, নারী নেত্রী ডা. ফৌজিয়া মোসলেম, নির্মল রোজারিও, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও কাজল দেবনাথ, ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক।
এমএইচএন/এমএ