ডিএমপি উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-কমিশনার হামিদা পারভিন/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

নির্যাতিত নারী-শিশুদের অনেকে ট্রমাটাইজড হয়ে যান। আইনগত সহায়তাও সময়মতো পান না। এমন অনেকেই আসেন ডিএমপি’র উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগে। ভুক্তভোগী নারী-শিশুর অধিকাংশই নির্যাতিত হন পুরুষ দ্বারা। এমন ভুক্তভোগীকে আইনি সহায়তা দেওয়া, পুনর্বাসন করতে পারাটা পরম তৃপ্তির। এমন সুযোগ পুলিশের অনেক বিভাগে মেলে না। যদিও এ ধরনের ভিকটিমকে সহায়তা করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং…

হামিদা পারভীন। দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হিসেবে। যৌথ পরিবার থেকে উঠে আসা হামিদার ১৪ ভাই-বোনই নিজ নিজ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় মাস্টার্স করেন তিনি। বাবার ইচ্ছা ছিল মেয়ে পুলিশে চাকরি নিয়ে দেশের সেবা করবে। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করেছেন হামিদা। ২০০৩ সালে যোগ দেন পুলিশে। প্রথম পোস্টিং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনে। এরপর স্পেশাল ব্রাঞ্চে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে ডিএমপির রমনা ক্রাইম বিভাগে সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে আইভরিকোস্টে গিয়ে পেশাদারিত্বের জন্য প্রশংসিত হন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‌্যাবে প্রায় সাড়ে তিন বছর, আর্মড পুলিশের সহ-অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৬ সালে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতির পরই প্রটেকশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পান। সেখানে প্রথম নারী কর্মকর্তা হিসেবে তিন বছরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রীয় সব ভিআইপি’র নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন। দু’বার আইজিপি গুড সার্ভিস ব্যাজ ও ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হন তিনি। ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট থেকে তিনি উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নারী দিবস উপলক্ষে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন ঢাকা পোস্টের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জসীম উদ্দীন

ঢাকা পোস্ট : কেমন আছেন?

হামিদা পারভীন : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।

যাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই, উইমেন সাপোর্ট সেন্টারই তাদের একমাত্র ভরসা। এটা আমার বড় তৃপ্তির জায়গা। এখানে আমার উপলব্ধি হচ্ছে, অসহায়-নির্যাতিত মানুষের অন্তরের দোয়া পাওয়া যায়। চোখের পানির মূল্য দিতে পারাটা সত্যিই প্রাপ্তির, যা আমার চাকরির জীবনের কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা হয় না

হামিদা পারভীন, ডিসি, উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, ডিএমপি

ঢাকা পোস্ট : ১৪ ভাই-বোনের বড় পরিবার। সেখান থেকে আপনার উঠে আসা নিশ্চয়ই চ্যালেঞ্জিং ছিল। আপনার গল্পটা শুনতে চাই…

হামিদা পারভীন : মা আমাদের মূল অনুপ্রেরণা। জীবনে যতটুকু অর্জন তা বাবার ইচ্ছে আর মায়ের অদম্য অনুপ্রেরণায়। বাবা সবসময় বলতেন, কম্প্রোমাইজ অ্যান্ড সেক্রিফাইস (সমঝোতা ও ত্যাগ)। এ কথাই বড় অনুপ্রেরণা। আমরা একজন আরেকজনকে অনেক বেশি সেক্রিফাইস করেছি। এসএসসির আগে প্রাইভেট টিউটরের কাছে যাইনি। ক্লাস ফাইভ থেকে স্কলারশিপ পেয়েছি। ক্লাস এইটে রাজবাড়ী জেলায় বৃত্তি পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়েও আমি ফার্স্ট ক্লাসের কারণে বৃত্তি পেয়েছি। যে কারণে পরিবারের ওপর পড়াশোনার চাপ অতটা পড়েনি। আমি বিশ্বাস করি, পরিবারের শিক্ষাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পক্ষ থেকে নির্যাতিত নারীদের ফুলেল শুভেচ্ছা/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

ঢাকা পোস্ট : উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কাজের ক্ষেত্র একেবারেই আলাদা। এখানে সেবা নিতে আসা ভিকটিমরা অধিকাংশই অসহায়, নির্যাতিত। তাদের সহায়তা করতে পারার অনুভূতি কেমন?

হামিদা পারভীন : প্রটেকশন বিভাগে কাজ করার সময় তৃপ্তি ছিল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারা। কিন্তু এখানে কাজের ক্ষেত্র ভিন্ন। সমাজের একেবারেই তৃণমূলের মানুষকে সেবা দেওয়ার সুযোগ। যাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই, উইমেন সাপোর্ট সেন্টারই তাদের একমাত্র ভরসা।  এটা আমার বড় তৃপ্তির জায়গা। এখানে আমার উপলব্ধি হচ্ছে, অসহায়-নির্যাতিত মানুষের অন্তরের দোয়া পাওয়া যায়। চোখের পানির মূল্য দিতে পারাটা সত্যিই প্রাপ্তির, যা আমার চাকরি জীবনের কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা হয় না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ডিসি হামিদা পারভীন

ঢাকা পোস্ট : অসহায়, নির্যাতিত ভুক্তভোগীদের অনেকেই ট্রমাটাইজড হয়ে যান। এমন ভুক্তভোগীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং আইনি সহায়তার চ্যালেঞ্জটা কীভাবে সামলাচ্ছেন?

হামিদা পারভীন : আমাদের সঙ্গে ১০টা এনজিও কাজ করে। আইনজীবী নিয়োগ দিয়েও সহায়তা করে তারা। এর বাইরেও ভিকটিমের জন্য অনেক ধরনের সহায়তার প্রয়োজন হয়। অনেক ভিকটিম আসেন, যারা সুস্থ কোনো চিন্তা করতে পারেন না। অনেকে দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন। পুলিশ সদস্যদের মারধর পর্যন্ত করেন। অনেক সময় অসুস্থ বৃদ্ধ ভিকটিম আসেন। আবার ছোট বাচ্চাকে উদ্ধার করে পরিবারের জিম্মায় ফিরিয়ে দিতে হয়। এসব খুবই চ্যালেঞ্জিং। ওই মাত্রার সক্ষমতা না থাকলেও সেবা দেওয়ার মানসিকতা থেকে কোনো না কোনোভাবে ম্যানেজ করতে হয়।

নির্যাতনের শিকার শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সদস্যরা
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা তিন হাজার ৭০০ মামলা তদন্ত করেছি। গত এক বছরে এক হাজার ৯৩৬ ভিকটিমকে সহায়তা করেছি, যা করোনাকালে ডিএমপির যেকোনো ইউনিটের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ, ওই সময় অনেকেই থানায় যেতে চাননি। তারা সবাই এখানে সহায়তা পেয়েছেন। আমরা ঘরে ঘরে গিয়েছি। খোঁজ নিয়েছি। আশ্বস্ত করেছি

হামিদা পারভীন, ডিসি, উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, ডিএমপি

ঢাকা পোস্ট : নিপীড়িত ও নির্যাতিত নারী-শিশুদের সেবাদানের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে যদি বলতেন…

হামিদা পারভীন : যেসব নির্যাতিত নারী ও শিশু ভিকটিম এখানে আসেন, তাদের আমরা প্রথমেই বোঝানোর চেষ্টা করি। যা হয়েছে, তার দায় তোমার নয়। তাদের মানসিক স্বস্তি, সাহস দেই। সমাজে অপাঙক্তেয় নয়, গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে বলি। পাশাপাশি চলে চিকিৎসাও।

ঢাকা পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ডিসি হামিদা পারভীন

ঢাকা পোস্ট : করোনাকালে কত সংখ্যক ভিকটিমকে আপনারা সহায়তা করেছেন?

হামিদা পারভীন : ঢাকা মেট্রোপলিটনে ৫০টি থানা। এসব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর মামলাগুলো আমরা তদন্ত করি। এছাড়া আদালতের নির্দেশিত মামলাও তদন্ত করি। আবার অনেকে আদালতের মাধ্যমে আবেদন করে আমাদের ডিভিশনকে দিয়ে তদন্ত করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা তিন হাজার ৭০০ মামলা তদন্ত করেছি। গত এক বছরে এক হাজার ৯৩৬ ভিকটিমকে সহায়তা করেছি, যা করোনাকালে ডিএমপির যেকোনো ইউনিটের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ, ওই সময় অনেকেই থানায় যেতে চাননি। তারা সবাই এখানে সহায়তা পেয়েছেন। আমরা ঘরে ঘরে গিয়েছি। খোঁজ নিয়েছি। আশ্বস্ত করেছি।

করোনাকালে দায়িত্ব পালন করছেন হামিদা পারভীন

ঢাকা পোস্ট : সেবাগ্রহীতাদের সেবা বা প্রত্যাশা পূরণে কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়?  ঘাটতি কোথায়?

হামিদা পারভীন : প্রথমত, আমাদের জনবলের অভাব। উইমেন সাপোর্ট সেন্টার, তদন্ত টিম ও কুইক রেসপন্স টিম মিলে আমাদের জনবল মাত্র ১৪৩ জন। সর্বশেষ ২০২০ সালের অক্টোবরে কুইক রেসপন্স টিমে ৩০ জন যুক্ত হয়েছেন। দ্বিতীয়ত, প্রশিক্ষণের অভাব। বিশেষায়িত এই বিভাগের জন্য যে ধরনের প্রশিক্ষিত জনবল দরকার, তা নেই। দরকার আলাদা প্রশিক্ষণ সেন্টারের। তৃতীয়ত, টেকনিক্যাল সাপোর্টের অভাব, স্পেশাল চাইল্ড ম্যানেজ করার মতো স্পেশালাইজড জনবল নেই, ডিজেবল ভিকটিমকে ম্যানেজ করার মতো জনবল দরকার। পাশাপাশি দরকার মেডিকেল সাপোর্ট, যেটা আমাদের নেই। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আমাদের এটি করতে হয়। এসব ঘাটতি পূরণ হলে আমাদের এই বিভাগ নির্যাতিত নারী ও শিশুদের ভরসাস্থলে পরিণত করা সম্ভব।

নারীদের মানসিক স্বস্তি, সাহসের ভরসাস্থল উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ডিসি হামিদা পারভীন
প্রথমত, আমাদের জনবলের অভাব। উইমেন সাপোর্ট সেন্টার, তদন্ত টিম ও কুইক রেসপন্স টিম মিলে আমাদের জনবল মাত্র ১৪৩ জন। দ্বিতীয়ত, প্রশিক্ষণের অভাব। বিশেষায়িত এই বিভাগের জন্য যে ধরনের প্রশিক্ষিত জনবল দরকার, তা নেই। দরকার আলাদা প্রশিক্ষণ সেন্টারের। তৃতীয়ত, টেকনিক্যাল সাপোর্টের অভাব, স্পেশাল চাইল্ড ম্যানেজ করার মতো স্পেশালাইজড জনবল নেই। ডিজেবল ভিকটিমকে ম্যানেজ করার মতো জনবল দরকার। পাশাপাশি দরকার মেডিকেল সাপোর্ট, যেটা আমাদের নেই

হামিদা পারভীন, ডিসি, উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, ডিএমপি

শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলেন পুলিশের এ সদস্যরা

ঢাকা পোস্ট : তদন্তসমন্বয়ক হিসেবে যদি বলেন, সেবাপ্রত্যাশীর ভিকটিমাইজড হওয়ার ক্ষেত্রে কাদের দায় বেশি?

হামিদা পারভীন : এখানে আসা ভুক্তভোগীরা ভিকটিমাইজড হয়েছেন পুরুষ দ্বারা, এ সংখ্যাই বেশি। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা, মানসিকতা, দীনতার কারণে এ জাতীয় ভিকটিমের সংখ্যা বেশি। যে কারণে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাও বেশি। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি ও অপহরণের ঘটনা সব পুরুষ দ্বারাই হয়। তবে যৌতুক, মানসিক নির্যাতন, মারধরের ক্ষেত্রে পরিবারের বা শ্বশুরবাড়ির নারীদের ভূমিকা রয়েছে। এসব মোকাবিলার জন্য পারিবারিক শিক্ষাটাই মুখ্য। তদন্তের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, যারা নারী ও শিশুদের নির্যাতন করছেন, তারা নিজের পরিবারে বড় গ্যাপের মধ্যে বড় হয়েছেন।

দায়িত্বে অবিচল হামিদা পারভীন

ঢাকা পোস্ট : পর্নোগ্রাফি অপরাধে অনেক নারী-শিশু না বুঝে পা বাড়াচ্ছেন। এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?

হামিদা পারভীন : পরিবার থেকে একটা ছেলে যদি ধর্ষক হয়ে ওঠে, সেটি ঠেকানোর দায় কিন্তু পুলিশের নয়। এটা পরিবার ও সমাজের দায়িত্ব। আমরা যেটা করি, তা হলো সচেতনতা বৃদ্ধি। আমরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও গার্মেন্টসগুলোতে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার, সাইবার অপরাধ— এসব সম্পর্কে সচেতন করছি। কীভাবে চললে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদের জানাচ্ছি। কিন্তু পুরো বিষয়টা একা পুলিশের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কারণ ওই পরিমাণ সময় ও জনবল, কোনোটাই পুলিশের নেই। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজকে আগে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই এগিয়ে এলে আমরা নারী ও শিশু নির্যাতনমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে পারব।  

নারী-শিশুদের পাশে আছেন সব সময়

ঢাকা পোস্ট : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

হামিদা পারভীন : নারীর সম্মান, অধিকার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যম হিসেবে এগিয়ে থাকুক ঢাকা পোস্ট। ধন্যবাদ।

জেইউ/এমএআর/এফআর/এমএমজে