নারীদের প্রযুক্তিতে আনতে রোল মডেল সৃষ্টি করতে হবে
প্রযুক্তি খাতে আমরা যদি নারীদের আনতে চাই, তাহলে অনেকগুলো রোল মডেল প্রয়োজন। কারণ একজন নারী আরেকজন নারীকে দেখে যেন স্বপ্ন দেখতে পারেন। তার স্বপ্ন যেন অনেক বড় হয়। সেই রোল মডেলটা আমাদের অনেক বেশি সৃষ্টি করতে হবে…
সোনিয়া বশির কবির। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নিজেকে আলোকিত ও সমৃদ্ধ করা এক নাম। শুধু নিজেকে আলোকিত নয়, দেশের নারীদেরও এ খাতে পথ দেখানো থেকে শুরু করে উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। আবাহনী ও বাংলাদেশ নারী জাতীয় দলের হয়ে ভলিবল ও ক্রিকেট খেলা সোনিয়া বশির কবির দেশের প্রযুক্তি খাতের নারীদের কাছে অন্যতম আস্থার জায়গা।
বিজ্ঞাপন
সবশেষ মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে ‘এসবিকে টেক ভেঞ্চারস’ ও ‘এসবিকে ফাউন্ডেশন’ পরিচালনা করছেন। নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান দুটি নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চান আন্তর্জাতিকভাবে সফল এ নারী।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারীদের অগ্রগতি, সমতা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা বলেন সোনিয়া বশির কবির। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আবু খালিদ।
বিজ্ঞাপন
২০১৭ সালে জাতিসংঘ সোনিয়া বশির কবিরকে ‘ওয়ান অব দ্য টেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) পাইওনিয়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০১৬ সালে বিল গেটস সোনিয়া বশির কবিরকে ‘ওয়ান অব দ্য ১০ রিসিপেন্ট অব মাইক্রোসফটস প্রেস্টিজিয়াজ ফাউন্ডারস অ্যাওয়ার্ড’ দেয়।
সোনিয়া বশির কবির যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ শেষ করার পর সান মাইক্রোসিস্টেমস, ওরাকলসহ ফরচুন ১০০-এর অন্যান্য স্টার্টআপে কাজ করেন। ২০ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের পর প্রযুক্তি গণতন্ত্রায়ণ ও সহজলভ্যের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ফিরে আসেন। বাংলাদেশে তিনি ডেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ও মাইক্রোসফটে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উদীয়মান বাজারে বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর এবং আমরা টেকনোলজিস’র চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন।
সোনিয়া বশির কবির ১০টির বেশি স্টার্টআপের সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি ভারতের নয়াদিল্লির মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন ফর পিস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের (এমজিআইইপি) গভর্নিং বোর্ড সদস্য। নারীদের জন্য বাংলাদেশের প্রথম আইটি অ্যাসোসিয়েশন ‘বাংলাদেশ উইমেন ইন আইটি’র (বিডব্লিউআইটি) সহপ্রতিষ্ঠাতাও তিনি। এর বাইরে তিনি দেশের প্রযুক্তি খাতে নারীদের প্রথম বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ‘দ্য অ্যাঞ্জেলস নেটওয়ার্ক’র (টিএএন) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট।
ঢাকা পোস্ট : স্বপ্ন নিয়ে মানুষের বেঁচে থাকা। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আপনার স্বপ্নের কথা জানতে চাচ্ছি…
সোনিয়া বশির কবির : আমি আমার স্বপ্ন পূরণের যাত্রায় নেমেছি। অনেক কিছু শেখার ছিল, তা হয়তো শিখেছি। এখন আমি উদ্যোক্তা হয়ে কাজ শুরু করেছি। উদ্যোক্তা হয়ে স্বপ্নটা পূরণ করতে চাই।
দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়াটা একজন নারীর সফলতার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এ জায়গায় সফলতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছি। ফলে আমি সফলতার সঙ্গে অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি
সোনিয়া বশির কবির, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস
সিলিকন ভ্যালিতে ২০ বছর ছিলাম। আমি দেখেছি, ওখানে প্রযুক্তিকে কীভাবে মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও সবার হাতে প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমি স্টার্টআপদের সঙ্গে কাজ করছি। ওরা যেমন সেবা দেবে, যে সমাধান দেবে তা আমাদের দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাবে। ওই সেবার মাধ্যমে দেশ উন্নতির পথে ধাবিত হবে। আমি স্বপ্ন দেখি, সুখী ও সমৃদ্ধ একটি বাংলাদেশ।
ঢাকা পোস্ট : বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে শীর্ষপদে দায়িত্ব পালন করেছেন, এ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি যদি বলতেন…
সোনিয়া বশির কবির : নারী হিসেবে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। সফল হওয়ার জন্য ছোট বেলা থেকে যেটা দরকার হয়, তা হলো সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা। ছোট বেলায় বাবা-মা যে সিদ্ধান্ত দিতেন, সেই সময়ে আমি মনে করতাম যে আমার কথা আছে। আমাকেও বলতে হবে। আমারটাও জানাতে হবে।
আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনেক সাহসী। ওদের স্বপ্ন দেখার শখ আছে প্রচণ্ড রকম, ওরা বড় বড় স্বপ্ন দেখে। আমাদের ইকো সিস্টেমকে শক্তিশালী করে একটা রোল মডেল (পথিকৃৎ), মেন্টরিং (রক্ষণাবেক্ষণ) এবং আর্থিক সুযোগ-সুবিধা যদি ওদের দিতে পারি তাহলে অনেক বড় সফলতা পাওয়া যাবে
সোনিয়া বশির কবির, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস
সেই সময় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা আমার তৈরি হয়। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়াটা একজন নারীর সফলতার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এ জায়গায় সফলতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছি। ফলে আমি সফলতার সঙ্গে অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি।
ঢাকা পোস্ট : তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমাদের নারীদের সেভাবে আগ্রহ তৈরি হয়নি। এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
সোনিয়া বশির কবির : প্রযুক্তি খাতে আমরা যদি নারীদের আনতে চাই, তাহলে অনেকগুলো রোল মডেল প্রয়োজন। কারণ একজন নারী আরেকজন নারীকে দেখে যেন স্বপ্ন দেখতে পারেন। তার স্বপ্ন যেন অনেক বড় হয়। সেই রোল মডেলটা আমাদের অনেক বেশি সৃষ্টি করতে হবে।
নারীদের এখন একটাই কাজ, তাকে জানতে হবে পৃথিবীতে কোথায় কী হচ্ছে। একটু অ্যাগ্রেসিভ (আগ্রাসী) হয়ে মার্কেটে নামতে হবে
সোনিয়া বশির কবির, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস
আমরা সবাইকে যেন উৎসাহ দিতে পারি, দেখ আমার মতো হও। আমার মনে হয়, যাত্রাটা শুরু হয়েছে আমাদের দেশে। আমরা তরুণদের উৎসাহ দিচ্ছি বিজ্ঞান অনেক ভালো। এখানে অনেক সুযোগ আছে।
ঢাকা পোস্ট : চাকরির চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার সংখ্যা কম। এ বিষয়ে কী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন…
সোনিয়া বশির কবির : এখানে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন নারীকে যেকোনো বিষয়ে সফল হতে চাইলে তাকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চাকরিজীবনে মানুষ অনেক স্বাচ্ছন্দ্য জোনে থাকে। কিন্তু উদ্যোক্তা হলে আপনাকে অনেকগুলো নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আর সিদ্ধান্তটা আপনাকেই নিতে হবে।
একটা ইকো সিস্টেম তৈরি করে দিতে হবে। যেখানে নারীদের সার্বিক সুবিধা, আর্থিক সুবিধা, মেন্টরশিপ পাওয়াসহ বিশেষ ব্যবস্থা থাকে।
ঢাকা পোস্ট : আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে আপনার অভিমত এবং তাদের বিষয়ে কোনো পরামর্শ আছে কী?
সোনিয়া বশির কবির : আমি মনে করি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনেক সাহসী। ওদের স্বপ্ন দেখার শখ আছে প্রচণ্ড রকম, ওরা বড় বড় স্বপ্ন দেখে। আমাদের ইকো সিস্টেমকে শক্তিশালী করে একটা রোল মডেল (পথিকৃৎ), মেন্টরিং (রক্ষণাবেক্ষণ) এবং আর্থিক সুযোগ-সুবিধা যদি ওদের দিতে পারি তাহলে অনেক বড় সফলতা পাওয়া যাবে।
খেলার জন্য মাঠে নামতে হবে। নারীদের কাছে আমার একটা অনুরোধ, মাঠে নামেন। একটু হারবেন কিন্তু জিতবেনই। মাঠে না নামলে কিছুই করতে পারবেন না
সোনিয়া বশির কবির, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস
আমার পরামর্শ হলো, মেয়েদের মাঠে নামতে হবে, তাদের মত প্রকাশ করতে হবে। আমাদের মধ্যে একটা প্রবণতা আছে, বাড়ির বড় ভাই বোনকে রাস্তায় এগিয়ে দিয়ে আসেন। এরপর বিয়ে হলে ওই মেয়েটার স্বামী সেই দায়িত্ব পালন করেন। এটাতে কী হয়, নারীদের মধ্যে একটা নির্ভরশীলতার প্রবণতা চলে আসে। বাবা, ভাই, স্বামী তারপর ছেলে দায়িত্ব নেবে। এটা নেতৃত্বের জন্য ভালো না। কারণ আমাদের নেতৃত্বের জন্য স্বাধীন হতে হবে। নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ঢাকা পোস্ট : উদ্যোক্তা হতে সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছেন কিন্তু নিজেই অনেক পরে শুরু করলেন…
সোনিয়া বশির কবির : উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক কিছুর দরকার হয়। হয়তো আমার সেই সাহসটা ছিল না যে ঝট করে উদ্যোক্তা হয়ে যাব। বাংলাদেশে এসেছি ২০০৫ সালে। বিদেশে ২০ বছর কাটানোর পর বাংলাদেশে এসে উদ্যোক্তা হওয়ার সাহস ছিল না কারণ, অনেক শেখার ও জানার প্রয়োজন ছিল।
আমি যেহেতু প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করি, সেক্ষেত্রে দেশের প্রস্তুতির বিষয়টা নিয়েও ভাবতে হয়েছে। আমি বর্তমান সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছি। আপনি বাজারে কোনো পণ্য আনবেন, সেই পণ্যের জন্য বাজার যদি প্রস্তুত না থাকে তাহলে আপনি সফল হবেন না। সুতরাং, অনেক কিছু মিলিয়ে, ক্যালকুলেটেড রিস্ক (গণনাপূর্বক ঝুঁকি) নিয়ে এত সময় পর উদ্যোক্তা হয়েছি।
ঢাকা পোস্ট : প্রযুক্তিতে দেশে আর কোনো সোনিয়া বশির কবিরকে দেখতে পান কিনা?
সোনিয়া বশির কবির : আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক স্মার্ট এবং মেধাবী। আমার বিশ্বাস যে, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে আমার মতো আরও এক কোটি নারী পাব। কারণ পৃথিবীটা অনেক ছোট হয়ে গেছে। আমাদের নারীদের বুদ্ধিমত্তাকে যদি আমরা পৃথিবীর কাছে পৌঁছে দিতে পারি, আমরা অনেক অনেক সফল নারীকে দেখতে পাব।
ঢাকা পোস্ট : আমাদের দেশের নারীদের বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিষয়ে পড়াশোনার আগ্রহ কম। এ বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী?
সোনিয়া বশির কবির : আমরা একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলাম। সেখানে তরুণীদের পরামর্শ দিতাম, তোমরা বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা কর। কিশোরীদের বলতাম বিজ্ঞান পড়তে। তাদের বলতাম, আমাদের সঙ্গে এসে দেখ কী কাজ করি। তোমরা উৎসাহ পাবে যে বিজ্ঞান পড়লে কী পাওয়া যায়। বিজ্ঞান এত কঠিন না। বিজ্ঞান অনেক কঠিন— এটা একটা বায়াস, এটা ভাঙতে হবে। যদি না ভাঙতে পারি, তরুণীদের যদি না আনতে পারি তাহলে কিন্তু আমাদের ক্ষতি হবে।
ঢাকা পোস্ট : তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীদের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?
সোনিয়া বশির কবির : এই মুহূর্তে আপনি বাসায় বসে যেকোনো কাজ যেকোনো সময় করতে পারছেন। এখন নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে যে সুযোগ এসেছে, এটার কোনো সীমা নেই।
নারীদের এখন একটাই কাজ, তাকে জানতে হবে পৃথিবীতে কোথায় কী হচ্ছে। একটু অ্যাগ্রেসিভ (আগ্রাসী) হয়ে মার্কেটে নামতে হবে। সেই সাহসটা যদি নারীরা দেখায়…, আমরা কোডিং শিখব, আমরা প্রোগ্রামিং শিখব, আমরা ডেটা এনালাইটিকস লার্নিং কীভাবে হয়, তা শিখব। পৃথিবীতে এগুলোর অনেক চাহিদা।
ঢাকা পোস্ট : আমাদের দেশের নারীদের মূল সমস্যাটা কোথায়?
সোনিয়া বশির কবির : মূল সমস্যা হলো সিদ্ধান্ত নিতে না পারা। নিজেকেই নিজের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা কিন্তু নিজ থেকেই আসে। কেউ শেখাতে পারে না। সিদ্ধান্তটা নারীদেরই নিতে হবে।
আপনি যখন মাঠে নামবেন, আপনাকে তো একটা টিমে খেলতে হবে। দর্শক হলে কেউ কোনোদিন হারে না, আবার জিতেও না। খেলোয়াড়রা হারে অথবা জিতে। সুতরাং খেলার জন্য মাঠে নামতে হবে। নারীদের কাছে আমার একটা অনুরোধ, মাঠে নামেন। একটু হারবেন কিন্তু জিতবেনই। মাঠে না নামলে কিছুই করতে পারবেন না।
ঢাকা পোস্ট : আপনি বিজ্ঞানের কথা বললেন, প্রযুক্তির কথা বললেন। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কি ওই পর্যায়ে উন্নীত হতে পেরেছে?
সোনিয়া বশির কবির : আমাদের দেশের পড়াশোনার পদ্ধতিটা এরকম যে, আপনি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সিদ্ধান্ত নিলেন মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নয় মানবিকে পড়াশোনা করবেন। একবার মানবিকে গেলে আর কোনোদিন আপনি চিকিৎসক বা প্রৌকশলী হতে পারবেন না।
আমি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মানবিকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছি। তারপর বিয়ে, এরপর সিলিকন ভ্যালিতে যাই। আমার কিন্তু একটা ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি আছে। আমি আর্টসের শিক্ষার্থী হয়ে বিজ্ঞানের একটা ডিগ্রি নিতে পেরেছি। এটা যদি আমি পারি, আমাদের দেশের সব মেয়েই পারবে।
অনেকের ভয় থাকে যে অঙ্ক কঠিন, পদার্থ কঠিন, রসায়ন কঠিন। আসলে এই ভয়কে জয় করে আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমি কিছুতেই ভয় পাই না। আমি মাঠে নামব, হারলেও শেষপর্যন্ত আমি জিতব।
একে/এমএআর/