রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বর সেকশনে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের সামনের রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকে গৃহস্থালির বর্জ্য। এরপর ওই বর্জ্য সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের ফটকের সামনে রাখার নির্দেশ দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (৮ মার্চ) মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী ওইসব বর্জ্যগুলো ময়লা তোলার বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের ফটকের সামনে রাখা হয়। এদিন কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির অঞ্চল ভিত্তিক সমন্বিত অভিযান (ক্র্যাশ প্রোগ্রাম) শুরু হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সোমবার সাগুফতা খাল এলাকা পরিদর্শনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর মিরপুর-৬ নম্বর সেকশনের এই পথ পরিদর্শনের সময় গৃহস্থালির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বর্জ্য অপসারণের পর মেয়র আতিকুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো ব্যবস্থা নেই। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই বর্জ্য রাস্তায় ফেলছেন। এতে নগরের পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। এই আবাসনে ৬০০টির বেশি পরিবার বাস করে। কিন্তু সরকারের যে সংস্থা এই আবাসন করেছে, তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপানার জন্য কোনো জায়গায় রাখেনি। এখন তারা জায়গা দিলে এসটিএস নির্মাণ করে দেবে ডিএনসিসি। তারপরও এই শহর নোংরা করতে দেওয়া হবে না।

সোমবার থেকে আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত (শুক্রবার ব্যতীত) ডিএনসিসি এলাকায় কিউলেক্স মশা নিধনে সমন্বিত অভিযান (ক্র্যাশ প্রোগ্রাম) শুরু হয়েছে। এই ক্র্যাশ প্রোগ্রামে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের মশক নিধন কর্মীরা প্রতি অঞ্চলে এক দিন করে মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করবে।

প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লার্ভি সাইডিং ও বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এডাল্টি সাইডিং করা হবে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা অভিযানও চলবে। ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

এএসএস/ওএফ