বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বার্ষিক জরিপ-২০২২ এর কার্যক্রম শেষ হয়েছে গত ৫ নভেম্বর। নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও ৬৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাঠানো হয়নি। সে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে তাগাদাপত্র দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)৷

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) মাউশির উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আনিকা রাইসা চৌধুরী সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তাগাদা দেওয়া হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, ব্যানবেইস কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক জরিপ কার্যক্রম গত ৫ নভেম্বর শেষ হয়েছে। প্রাথমিক স্তরের ইআইআইএনভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই জরিপে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। 

জরিপে সংগৃহীত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে ব্যানবেইস দেশি, বিদেশি অংশীজন, ইউনেস্কো ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিসটিকস (ইউআইএস), হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্স (এইচসিআই), ডেভেলপমেন্ট পার্টনার (ডিপি), অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স অ্যাগ্রিমেন্ট (এপিএ), এসডিজি ট্রেকার, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় শিক্ষা তথ্য সরবরাহ করাসহ বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিক শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ এবং এসডিজি-৪ বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। 

শিক্ষায় সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে সেই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইতোমধ্যে দেশের ৩৫ হাজার ৭৯৬টি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫ হাজার ১১২টি জরিপে অংশগ্রহণ করে তথ্য দিয়েছে। তবে তালিকার ৬৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত ব্যানবেইসের জরিপে তথ্য দেয়নি, যা মোটেও কাম্য নয়।

এতে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান অবস্থা অবহিতকরণ এবং সংযুক্ত তালিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনতিবিলম্বে ব্যানবেইস সার্ভারে (www.banbeis.gov.bd) লগইন করে তথ্য প্রদান করে মাউশিকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এমএম/কেএ