৭১’ এর জেনোসাইডের বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করা জরুরি
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে যে জেনোসাইড সংঘটিত হয়েছিল সে বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করে তোলা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হলে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে কিছুই জানে না। তাদের এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন আমরা একাত্তর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এতে নেতারা ১৯৭১ সালের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা একাত্তরের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন আমরা একাত্তরের প্রধান সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা হিলাল ফয়েজী, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল সরকার, জেনোসাইড বিশেষজ্ঞ প্রদীপ কুমার দত্ত, মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স ওয়ার্ল্ড-র পরামর্শক ভ্যাংকুভার প্রবাসী প্রকৌশলী হাফিজুর জাহাঙ্গীর, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) এর জার্মান প্রতিনিধি রোকেয়া রথে এবং নেদারল্যান্ডসের ডায়াসপোরা সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ (বাসুগ) এর চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া।
বিজ্ঞাপন
আলোচনায় নেতারা পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত সুইডেনের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ আসিফ শাহকারের বাংলাদেশের সমাধিস্থ হওয়ার আবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং তার আবেদনের পক্ষে সুপারিশ পেশ করেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
বৈঠক শেষে নেতারা বাংলাদেশ ডাক বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের যুদ্ধাপরাধ’ শীর্ষক ৭১টি ডাকটিকিটের সেটের প্রতিলিপি হস্তান্তর করেন।
/এসএসএইচ/