সিডও সনদ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ বাস্তবায়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘে ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সিরডাপ মিলনায়তনে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় ‘সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন চাই’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের আলোকে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭২ সাল থেকে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ বাস্তবায়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘে ভূমিকা পালন করবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে, পুরুষকে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নে ও সিডও সনদ বাস্তবায়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
সভায় গ্লোবাল টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, সিডও সনদ বাস্তবায়নে সমাজ এখনো প্রস্তুত নয়—সরকারের এই বক্তব্য নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়নের প্রশ্নে কোনোভাবেই কাম্য নয়। সিডও সনদের সঙ্গে রাষ্ট্রের ভূমিকা জড়িত।
বিজ্ঞাপন
মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. ইকবাল হোসেন বলেন, নাগরিক সমাজের উদ্যোগে সিডও বিকল্প প্রতিবেদনে উত্থাপিত বিষয়গুলোর সঙ্গে সরকার একমত। সিডও সনদের ধারা ১৬,১.গ প্রত্যাহারে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। আমরা আশাবাদী যে ১৬,১.গ প্রত্যাহার শিগগিরই সম্ভব হবে। পরবর্তীতে ধারা ২ প্রত্যাহারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইউএন উইমেন বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ দিলরুবা হায়দার বলেন, সিডও বাস্তবায়নের দায় কেবল সরকারের মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের নয়। বরং সকলের মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে এই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি অর্থ বরাদ্দের দিকটিতেও সরকারকে জোর দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সহায়তা দিতে ইউএন উইমেন সবসময় তৎপর থাকবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, সিডওতে বৈষম্য দূরীকরণ নীতি সিডও সনদ বাস্তবায়নে নানা বাধা আছে। লিঙ্গ বৈষম্যের অন্যতম কারণ নারী পুরুষের মধ্যে থাকা নানা অসমতা। নারীর ব্যক্তিগত অধিকারের প্রশ্নে ধর্মের প্রসঙ্গ আসে যা সংবিধান বিরোধী। নারী পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় সিডও সনদ বাস্তবায়নে কেবল নারী সংগঠন নয় বরং সব সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা। আরও উপস্থিত ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ইউএন উইমেন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম এনালিস্ট সোহেল রানা, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুসহ আরও অনেকে।
এমএইচএন/কেএ