শ্রমিকরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই, ২০২৩ সালে শ্রমিকদের সবার আগে মৌলিক অধিকার বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের পাঠানো নতুন বছর উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় এ দাবি জানানো হয়।

শুভেচ্ছাবার্তায় তারা বলেন, প্রতিটি নতুন সূর্যের মতো নববর্ষের সূর্য আশা ও সম্ভাবনা নিয়ে উদিত হয়। আসছে বছরে আমরা আশা করছি, অতীতের সব বঞ্চনা ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে শ্রমজীবী মানুষরা তাদের সত্যিকারের অধিকার ফিরে পাবে। শ্রমিকদের শ্রমে শুধু দেশের পরিবর্তন হবে না, একই সঙ্গে শ্রমিকদের জীবনেও পরিবর্তন আসবে বলে আমরা বিশ্বাস রাখি। সেই পরিবর্তনের ছোঁয়ায় শ্রমিক-মজুরসহ দেশবাসীর জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আসবে। আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে কায়মনোবাক্যে দেশবাসীর জন্য সেই দোয়া করছি।

তারা আরও বলেন, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ শ্রমিক। শ্রমিকদের ঘরে সুখ-শান্তি না পৌঁছাতে পারলে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি কোনো কাজে আসে না। তাই শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন করার জন্য সবার সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে। এক্ষেতে সর্বপ্রথম মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। সব শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে তাদের প্রাপ্য অধিকার বুঝিয়ে দিতে হবে। একজনের শ্রমিকের সংসার চালানোর জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু পূরণ করার জন্য মালিকদের উদ্যোগ নিতে হবে। অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের জন্য রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকা ভিত্তিক শ্রমিকদের তালিকা করে তাদের জীবনমান এগিয়ে নিতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রমিকরা শুধু দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করবে এই নীতি আর চলবে না। সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে দারিদ্র প্রতিহত করতে হবে।

অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা সেবা শ্রমিকদের ঘরে পৌঁছে দেওয়া ও শ্রমিক সন্তানদের বিনামূল্যে বিদ্যালয় পড়ার সুযোগসহ ইংরেজি নববর্ষে মেহনতি শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

এমএইচএন/এমএ