প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) সঙ্গে সৃজনশীল দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও বিকাশের জন্য লক্ষ্যে কাজ করবে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিল (সিএমআইএসসি)। বুধবার (১০ মার্চ) রাজধানীর রাজধানীর ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনের মাল্টি-পারপাস হলে ‍দুই প্রতিষ্ঠানের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানের যোগ দেন। এছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, এনএসডিএর নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহা উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) সাংবাদিকতা (সকল মিডিয়া), সঙ্গীত শিল্প, পারফর্মিং আর্টস (অভিনয়, নৃত্য, আবৃত্তি ইত্যাদি), চলচ্চিত্র ও টিভি শিল্প (বিনোদন), থিয়েটার, গ্রাফিকস ডিজাইন ও অ্যানিমেশন, কনটেম্পোরারি আর্ট, সাহিত্য ও কবিতা, বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃজনশীল দক্ষতা বৃদ্ধি, মেধাবীদের তৈরি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিয়ে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ও টেকনোলজির মিশ্রণেই মিডিয়া  ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে আমি আশাবাদী। আমাদের টেকনোলজিতে বেশ এগিয়েছে। এখন অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে এ ব্যবহার করতে হবে।

মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, চতুর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশনে অংশ নিতে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সরকার নতুন উদ্ভাবনকে সর্বদা স্বাগত জানিয়েছে। আশা করি ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিলের সহযোগিতায় ২০৪১ এর আগেই জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগটি তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হবে।   

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা এখন আছি ডিজিটাল ইকোনোমিতে। কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশ নিতে আমাদের ক্রিয়েটিভ ইকোনোমিতে পা রাখতে হবে। আমরা আত্মনির্ভর হতে চাই, আত্মকেন্দ্রিক নয়।    

শমী কায়সার বলেন, করোনার সময়ে আমাদের দেশে ই-কমার্স যেভাবে প্রসারিত হয়েছে ই-ইন্টারটেইনমেন্টেও এই প্রসারণ আসবে। আমরা মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে নেটফ্লিক্সের বিকল্প প্লাটফর্মের সূচনা করতেই পারি।

এনএম/ওএফ