রাঙ্গুনিয়ায় সাংবাদিককে আটকে রাখা ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় যে ইটভাটায় সাংবাদিক আবু আজাদকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছিল, সেটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া পাহাড় থেকে মাটি কাটার অপরাধে অন্য আরেকটি ইটভাটাকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এবং জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসন জানায়, নানা অনিয়মের অভিযোগে রাঙ্গুনিয়ার দুটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ইসলামপুর ইউনিয়নে এবিসি ইটভাটার কোনো লাইসেন্স না থাকায় সেটির চুল্লি ও চিমনি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাঁচা-পাকা মিলিয়ে ইটভাটার প্রায় এক লাখ ইট ধ্বংস করা হয়। এই ইটভাটায় সাংবাদিক আজাদকে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়েছিল। একই দিন বিকেলে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের কেবিএম ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাহাড় থেকে মাটি কাটার অপরাধে সেটির মালিক মো. কামাল উদ্দীনকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় অভিযান চালিয়ে একটি ইটভাটা ধ্বংস এবং আরেকটিকে ৮ লাখ জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর সকালে রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ইউনিয়নে ইটভাটার অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সংগ্রহে যান ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের স্টাফ করেসপনন্ডেন্ট আবু আজাদ। ঘটনার দিন সংবাদ সংগ্রহের একপর্যায়ে তাকে ইউপি মেম্বর মোহনের নেতৃত্বে একদল লোক তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে এবিসি ইটভাটার পাশের একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর, অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি ও একপর্যায়ে চাঁদা দাবি করা হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজের নির্দেশে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী সাংবাদিকের মোবাইল ও টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনার পরদিন ২৬ ডিসেম্বর সাংবাদিক আবু আজাদ বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৭ জনকে আসামি করা হয়। পরে ওইদিন রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাঞ্চন কুমার তুড়ি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কেএ