চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে নিজ বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন মো. ইউসুফ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ। পরে নিজের সহযোগীদের ফোন করে জানান মো. ইউসুফের বাড়িতে আটকে থাকা ওই ব্যক্তি। এরপর তার সহযোগীরা এসে মো. ইউসুফকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মো. ইউসুফের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় কয়েকজনের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি চুরি করতে মো. ইউসুফের বাড়িতে এসেছিলেন। যদিও বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ্দ কেওচিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মো. ইউসুফ ওই এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ইউসুফের বাড়িতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি প্রবেশ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে ইউসুফ ও তার পুত্রবধূ ওই ব্যক্তিকে আটকে রাখেন। এদিকে আটকে থাকা ব্যক্তি তার সহযোগীদের ফোন করে বিষয়টি জানান। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন এসে ইউসুফ ও তার পুত্রবধূকে বেধড়ক মারধর করে। এর একপর্যায়ে ইউসুফ মাটিতে পড়ে যান। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

জানতে চাইলে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা পোস্টকে বলেন, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ছদাহা এলাকার একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন। এতে বাড়ির লোকজন তাকে আটকে রাখেন। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তি মোবাইলে তার কয়েকজন সহযোগীকে ডাকেন। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির কর্তা বৃদ্ধ ইউসুফকে মারধর করেন। একপর্যায়ে বৃদ্ধ পড়ে যান। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আটকে রাখা ব্যক্তি চোর কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামির নাম জানতে চাইলে তিনি সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তবে ওসি ইয়াসির আরাফাতকে কয়েকবার ফোন করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এরপর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলামের কাছে মামলার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি বলে জানান। তিনি আদালতে রয়েছেন জানিয়ে পরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কেএ