ফুটপাতে মশারি টাঙিয়ে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষার দাবি
অন্যদিনের মতই শুক্রবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাবি আদায়ে মানববন্ধন, সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছিল বিভিন্ন সংগঠন। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে ফুটপাতে মশারি টাঙিয়ে শুয়ে আছেন এক ব্যক্তি। মাঝে মাঝে উঠে হাত দিয়ে মশা মারছেন, ফের শুয়ে পড়ছেন। হঠাৎ করে আবার মশার কামড়ে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠছেন। একটু পর পর বলে উঠছেন উফ! এত মশা! মশারির ভিতরেও মশা! দেখে বোঝা গেল মশার কামড়ে বারবার ঘুম থেকে জেগে উঠছেন তিনি।
‘আধা ইঞ্চির মশা মারতে মেয়ররা ব্যর্থ’ উল্লেখ করে মশার অসহনীয় উপদ্রব থেকে রাজধানীবাসীকে রক্ষার দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচির দৃশ্য ছিল এটি। ভাড়াটিয়া পরিষদের আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিনয়ের মাধ্যমে মশার কারণে অতিষ্ঠ নগরবাসীর বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, বর্তমানে রাজধানীতে মশার উপদ্রব ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বস্তি থেকে অভিজাত এলাকা, সর্বত্রই এখন মশার আক্রমণ। এ যেন মানুষের নয়, মশার শহর। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। ওষুধ পুরো কার্যকর হচ্ছে না। মশার প্রকোপ এত বেশি যে মশারি, কয়েল আর স্প্রেও কোনো কাজে আসছে না। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে রাজধানীতে মশার ঘনত্ব বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ।
যেসব বিল্ডিংয়ের ছাদে-বেইজমেন্টে পানি জমে থাকে সেগুলোকে নজরদারি আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আগে থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিলে নগরবাসীকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। বিভিন্ন এলাকায় মশক নিধনকর্মীদের দায়িত্বের অবহেলার ফল এখন মানুষ ভোগ করছে। তারা বরাদ্দ অনুযায়ী বাসাবাড়ির আঙিনা, জলাশয়, ডোবা ও ড্রেনে ওষুধ দিলে মশার বিস্তার এত হতো না। বাড়লেও নিয়ন্ত্রণে আনা যেত। মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশক নিধন কর্মীদের আগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব বিল্ডিংয়ের ছাদ এবং বেইজমেন্টসহ বিভিন্ন স্থান নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। কারণ সেখানে নোংরা অপরিচ্ছন্ন পানি জমে থাকে।
বিজ্ঞাপন
বাড়িওয়ালাদের উদ্দেশে বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, আপনাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। আপনারা নিজ উদ্যোগে আপনার বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখুন। মশক নিধন কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ওষুধ দিন। এতে করে ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে আপনাদের পরিবারও সুরক্ষিত থাকবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ভাড়াটিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খাতুনে জান্নাত ফাতেমা খানম, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য মাকসুদুর রহমান, জামাল শিকদার, শাহজাহান সিরাজ, আজম মোল্লা, মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
এএসএস/এমএইচএস