বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। তাদের আগমনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রোববার (১৪ মার্চ) ডিএমপি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্রিফিং করবে। সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম আজ (১৪ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন।

সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ঘোষণা করেছে। ১৭ থেকে ২৬ মার্চ এসব অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

শুক্রবার (১২ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভবনে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠানমালা ঘোষণা করা হয়। ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন পৃথক থিমভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিও-ভিজুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

দশ দিনের অনুষ্ঠানমালায় ১৭, ২২ এবং ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ১৭, ১৯, ২২, ২৪ এবং ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকারপ্রধানরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, ১৯ মার্চ শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২ মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন।

এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে ৫০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানসহ অন্য পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ধারণকৃত বক্তব্য প্রচার করা হবে।

নাসের চৌধুরী আরও জানান, ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ১৮ মার্চ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ২০ মার্চ ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন, ২২ মার্চ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, ২৪ মার্চ পোপ ফ্রান্সিস, ২৫ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন এবং মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধু তাকাশি হায়াকাওয়ার ছেলে ওসামু হায়াকাওয়া বক্তব্য রাখবেন।

জেইউ/এসএসএইচ