চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার রিয়াজউদ্দীন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। এসময় অভিযানে বাধা দেন তামাকুমুন্ডি লেন বণিক সমিতির নেতা আহমদ কবির দুলাল। এতে করে তিনটি দোকানে অভিযানের পর কার্যক্রম শেষ করতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্যবসায়ী নেতা আহমদ কবির।

জেলা প্রশাসন জানায়, বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে রিয়াজউদ্দীন বাজারের সফিনা বিতান ও বাহার মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে তিনটি দোকানদারকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে কাজী স্টোরকে ৮০ হাজার টাকা, বশর ট্রেডিংকে ৩০ হাজার টাকা ও ইমারত ট্রেডার্সকে  ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

একইসঙ্গে এসব দোকান থেকে শ্যাম্পু, সাবান, বেবি লোশন এবং শিশুখাদ্যসহ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের অনুমোদনহীন মালামাল জব্দ করা হয়। যেগুলোর গায়ে ছিল না কোনো উৎপাদনকারীর নাম, মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। এছাড়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক হাইড্রোকুনিনের উপস্থিতি থাকার কারণে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এমন কিছু পাকিস্তানি সাবান জব্দ করা হয়। জব্দ হওয়া পণ্যের বেশিরভাগই বিদেশ থেকে অবৈধ পথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছে।

অভিযানে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযানের সময় হঠাৎ তামাককুন্ডি লেন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ কবির দুলালের নেতৃত্বে একদল অসাধু ব্যবসায়ী মাইকে ঘোষণা দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার স্থানে জড়ো হন। তাদের বাধার মুখে মাত্র তিনটি দোকানে জরিমানা করে অভিযান শেষ করতে বাধ্য হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তবে এ অভিযোগের বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতা আহমেদ কবির দুলাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় বাসায় ছিলাম। অভিযানের সময় কারা যেন মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেছে—‘ম্যাজিস্ট্রেট আসছে গণহারে সব দোকানে জরিমানা করা হচ্ছে’। এরপর সবাই জড়ো হয়। খবর পেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এসময় আমি ম্যাজিস্ট্রেটকে বুঝিয়ে বললাম—এখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আপাতত অভিযান স্থগিত করলে ভালো হবে। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আপনারা অভিযান পরিচালনা করলে আমরাও সহযোগিতা করব।

এমআর/কেএ