করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে পারছে না এডিপি
করোনার ধাক্কা কোনোভাবেই সামলে উঠতে পারছে না চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। গত আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এডিপি বাস্তবায়ন হার পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এডিপির বাস্তবায়ন দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
রোববার (১৪ মার্চ) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের আট মাসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করতে পেরেছে ৭২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪৬ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৩৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বৈদেশিক সহায়তা থেকে ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৩৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২১ দশমিক ৯ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি অর্থবছরে দুই লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকা এডিপি বাস্তবায়ন করছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি তহবিলের এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা, যা ৬২ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা, যা ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এছাড়া সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন রয়েছে নয় হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
আইএমইডির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে (প্রথম আট মাস) এডিপির বাস্তবায়ন ছিল ৩৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাস্তবায়িত হয় ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই হার ছিল ৩৮ দশমিক ০১ শতাংশ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এডিপির বাস্তবায়ন হয় ৩৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
আইএমইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুধু ফেব্রুয়ারি মাসে এডিপি বরাদ্দের খরচ হয়েছে ১১ হাজার ৫৫৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে খরচ হয়েছিল ১১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মূল প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ৬৭৩টি।
এ প্রসঙ্গে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনায় প্রত্যাশা অনুযায়ী এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি হয়নি। বর্তমানে সব প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে। কাজ শেষে বিল পরিশোধ করলে এডিপির বাস্তবায়ন বেড়ে যাবে।
এসআর/আরএইচ