‘রোবট ডুবুরি’ উদ্ধার করবে মানুষ
‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’ রোবট
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। তাই দেশের নদ-নদীগুলোতে যাত্রী পরিবহন ও বাণিজ্যিক কাজে লঞ্চ, স্টিমার ও নৌকা ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন সময়ে মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ঘটে থাকে নৌ দুর্ঘটনা। উদ্ধারকর্মীদের বিভিন্ন চেষ্টার পরেও অনেক সময় ডুবে যাওয়া মানুষগুলোকে খুঁজে পাওয়া বা উদ্ধার করা যায় না। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা নিয়ে এলো ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’ রোবট।
ব্র্যাকের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আর্মি স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত ‘হোপ ফেস্টিভ্যালে’ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্টলে দেখা মিলবে রোবটের।
বিজ্ঞাপন
ইতোমধ্যে এ রোবট বেশ কয়েকটি উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে বলে জানান এর নির্মাতারা। ডুবুরি রোবট প্রজেক্টের টিম লিডার নায়েম হোসাইন সৈকত ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশে প্রায় সময় নৌ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। অনেক সময় উদ্ধারকারী ডুবুরিরা সব মানুষকে খুঁজে পায় না বা উদ্ধার করতে পারে না। আমাদের এই ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’ রোবট গভীর পানি থেকে মানুষ খোঁজা ও উদ্ধারেও সহায়তা করতে পারবে। রোবটটির আনুষ্ঠানিক ব্যবহারের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি আগ্রহ দেখিয়েছে। আশা করছি শিগগিরই এর বাণিজ্যিক রূপ আসবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন >>> প্রতিবন্ধীদের হাতে তৈরি পণ্য নিয়ে ‘যত্নের দোকান’
ডুবুরি রোবট ছাড়াও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ‘ব্র্যাক অন্বেশা’ নামক ন্যানো স্যাটেলাইট নির্মাণ করছে। যা নাসার সহায়তায় স্পেসে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তৈরি করা হয়েছে ‘ব্র্যাকইউ মঙ্গলটোরি’ রোবট। এটি একটি রিসার্চ রোভার, যা মঙ্গল গ্রহে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও গবেষণার কাজেও সক্ষম।
‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’, ‘সম্ভাবনার শক্তি’ এবং ‘যে পৃথিবী আমরা গড়তে চাই’- এই তিনটি প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আর্মি স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত হচ্ছে ব্র্যাকের হোপ ফেস্টিভ্যাল।
বাংলাদেশের হৃদয় হতে, সারা বিশ্বজুড়ে আশা জাগানোর ৫০ বছরের পথচলা আর বাংলাদেশের মানুষের দৃঢ়তা, সাহস ও এগিয়ে যাওয়ার শক্তিকে উদযাপন করতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উৎসব। বাধা, বিপদ ও দুর্যোগে বাংলাদেশের লড়াকু মানুষ থমকেছে, কিন্তু থামেনি। সীমাহীন সম্ভাবনায় খুঁজে নিয়েছে এগিয়ে যাবার পথ। এই উৎসবের মূল অনুপ্রেরণা ও আয়োজন তাদের ঘিরেই। কোটি মানুষের জীবনের মোড় পরিবর্তনের উদাহরণ সবাইকে নিজ নিজ বাধা পেরিয়ে, স্বপ্ন জয়ের অনুপ্রেরণা দেবে– এই আশা ব্র্যাকের।
আরও পড়ুন >>> দারিদ্র্য বিমোচনের নতুন মডেল ‘শূন্য থেকে পূর্ণ’
উৎসবে দর্শকদের জন্য থাকবে আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকজ সংস্কৃতির সম্মিলন – পুঁথিপাঠ, গল্পপাঠের আসর, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, শিশুদের খেলার জগৎসহ বিভিন্ন প্রদর্শনী। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলবে ফেস্টিভ্যালটি।
ওএফএ/এফকে