কানাডার টরন্টোয় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এদের মধ্যে একজনের মরদেহ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে পৌঁছাবে।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ তথ্য জানানো হয়। তবে তিন জনের মধ্যে কার মরদেহ ফিরছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন : কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

হাইক‌মিশন জানায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে টরন্টোতে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও এক শিক্ষার্থী। নিহত তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এদের মধ্যে একজনের মরদেহ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে পৌঁছাবে। অন‌্যদি‌কে আহত শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

বিজ্ঞ‌প্তি‌তে উল্লেখ করা হয়, টরন্টোর বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কনস্যুলেট নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও আহত শিক্ষার্থীর দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করে। মারাত্মক দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে টরন্টোর হাইকমিশনার ও কনসাল-জেনারেল উভয়েই টরন্টোতে বাংলাদেশি ও এসব শিক্ষার্থীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সে সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : শারীরিক অবস্থার উন্নতি, খুলে দেওয়া হতে পারে নিবিড়ের ভেন্টিলেটর

নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, টরন্টোর হাইকমিশন ও কনস্যুলেট নিহত শিক্ষার্থীদের মরদেহ পরিবহনে সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেবে। হাইকমিশনার টরন্টোতে বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি এবং স্টেশন ম্যানেজারদের প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য পরিবারের সদস্য যারা টরন্টোতে আসতে চান বা যারা সঙ্গী হবেন তাদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিটের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।

হাইক‌মিশন জানায়, নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট হাসপাতাল ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হোম থেকে মৃত্যুর সার্টিফিকেট ও অন্যান্য কাগজপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এনআই/এসএসএইচ/