আগামী বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু দেখতে চায় জাপান
ডিক্যাব ‘ডিক্যাব টকে’ জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি
জাপান আগামী বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়া দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। এ ব্যাপারে জাপান সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) ‘ডিক্যাব টকে’ অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জাপান চায় আগামী বছর থেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হোক। এ প্রক্রিয়া যেন শুরু হয় সেজন্য জাপান সরকার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্তকর্মাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে। জাপান এ বিষয়ে অব্যাহত সহযোগিতা করে যেতে চায়।’
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সঙ্গে জাপানের বন্ধুত্ব বহু পুরোনো এবং এ দেশ নিয়ে দেশটির আগ্রহ রয়েছে বলেও জানান ইতো নাওকি।
বিজ্ঞাপন
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনা নির্যাতনের শিকার হয়ে সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আগে থেকে অবস্থান করছে চার লাখের মতো। বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তি করলেও দেশটির অনাগ্রহের কারণে এ চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। পরপর দুবার প্রত্যাবাসনের খুব কাছাকাছি গিয়েও একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে পাঠানো যায়নি।
দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরির জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি, কাস্টম সংক্রান্ত নিয়ম সহজীকরণসহ নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলো বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযোগী পরিবেশ।’
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ থাকায় জাপানি কোম্পানিগুলো এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী বলেও জানান রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো।
এ সময় রাষ্ট্রদূত ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির একটি গুরত্বপূর্ণ অংশীদার জাপান। এটা এ অঞ্চলের সমৃদ্ধির খুব ভালো একটা প্লাটফর্ম।’
এনআই/এসএম