মগবাজার বিস্ফোরণের সঙ্গে মিল দেখছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ধারণা করছে সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণটি রাজধানীর মগবাজারের গ্যাস বিস্ফোরণের মতো ঘটনা হতে পারে।
রোববার (৫ মার্চ) সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রধান রহমত উল্লাহ চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
২০২১ সালের ২৭ জুন রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জনের মৃত্যু হয়। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠেছিল। আশাপাশের বেশ কয়েকটি ভবনের জানালার কাঁচও ভেঙে যায়।
রহমত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে— সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনাটি ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া মগবাজারের বিস্ফোরণের মতো গ্যাস থেকে সৃষ্ট। ভবনটিতে কোনো না কোনোভাবে গ্যাস জমে ছিল। জমে থাকা গ্যাসের গণমাত্রা যদি ৫-১১ মাত্রার হয়, এটা যদি ট্রিগার করে তাহলে এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। এই ট্রিগার ফ্যানের সুইচ ও এসির সুইচের মাধ্যমেও হতে পারে। এটা গ্যাস থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ হতে পারে। আর এত বড় বিস্ফোরণ গ্যাস থেকেই সৃষ্টি হয়ে থাকে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, নগরবাসীকে সচেতন থাকতে হবে বৈদ্যুতিক সুইচ ও গ্যাসের চুলা জ্বালানোর ক্ষেত্রে। দরজা জানালা খুলে যেন রুম থেকে গ্যাস বিতাড়িত করা হয়।
বিস্ফোরণের ঘটনাটি একটি বাণিজ্যিক ভবনে ঘটেছে, তাহলে ভবনটিতে কীভাবে গ্যাস জমে ছিল? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে যেকোনোভাবে গ্যাস জমা হয়ে থাকতে পারে। সেটা সুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমেও হতে পারে।
রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে নিউমার্কেটের দিকে যাওয়ার পথে প্রিয়াঙ্গন শপিং মলের পাশের ভবনে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এমএসি/এসএসএইচ/