বিএনসিসির উপহারে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পথশিশুদের উচ্ছ্বাস
‘এইরকম জন্মদিনের কেক প্রথম খাইতাছি, অনেক মজা লাগতাছে’- এভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিল পথশিশু আদিবা। আরেক পথশিশু তন্ময়ও জানাল উচ্ছ্বাসের কথা। উপহার পেয়ে রাজধানীর প্রায় শ’খানেক সুবিধাবঞ্চিত শিশু আজ এভাবেই আনন্দে মেতেছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে। নতুন স্কুলব্যাগ কাঁধে নিয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে তারা।
বুধবার (১৭ মার্চ) জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) সুবিধাবঞ্চিত এসব পথশিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আনন্দ র্যালি, স্কুলব্যাগ বিতরণ, কেক কাটাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পর পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুদের মাঝে। শুধু পুরস্কারই নয় বরং শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখার নিমিত্তে তুলে দেওয়া হয় স্কুলব্যাগ ও বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ। শিক্ষা উপকরণ বিতরণের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে পথশিশুদের নিয়ে কেক কাটেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান।
বিজ্ঞাপন
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনসিসির রেজিমেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাহাত নেওয়াজ, রেজিমেন্ট অ্যাডজুট্যান্ট মেজর সুমন কান্তি বড়ুয়া, ডেপুটি ডিরেক্টর স্কোয়াড্রন লিডার মেহেদি হাসান সাইফুল্লাহসহ শতাধিক বিএনসিসি ক্যাডেট।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পাশেই বিএনসিসির এমন ভিন্নধর্মী আয়োজনে পুলকিত হয়েছেন প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনে আসা নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। শামসুল ইসলাম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, জাতীয় শিশু দিবসে এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। সুবিধাবঞ্চিত এসব পথশিশুরা আমাদের সমাজের বোঝা নয়, তারা আমাদের সন্তান।
গতানুগতিক আয়োজনের বাইরে ভিন্নধারার এমন কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বিএনসিসির ক্যাডেটরা সবসময়ই সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় শিশু দিবসে ভিন্ন আঙ্গিকের এ আয়োজন। তাদের শিক্ষা কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য তাদের উৎসাহিত করতে স্কুলব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণও দিচ্ছি। আমরা আশা করি এভাবেই সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
আরএইচটি/আরএইচ