পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফরে বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তা কিংবা ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।

নয়াদিল্লিতে পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বুধবার (১৭ মার্চ) দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার। সচিব বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে তিস্তা বা ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না। ভারত বলেছে, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের বিধানসভার নির্বাচনের পরে চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হবে।‘

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) নয়া দিল্লিতে পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কবির বিন আনোয়ার এবং ভারতের পক্ষে ছিলেন পঙ্কজ কুমার।

কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারও জড়িত। সেখানে বিধানসভা নির্বাচন চলছে। ভারতের পানি সচিব বলেছেন, নির্বাচন শেষ হলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।’

এদিকে ঢাকা-নয়াদিল্লির বৈঠক শেষে গতকালে রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, `বহুপ্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত করতে নয়াদিল্লিকে আবারও আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। একইসঙ্গে ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের সুরাহা করতেও নয়াদিল্লির প্রতি জোর আহ্বান জানানো হয়েছে।’

বৈঠকে সচিব কবির বিন আনোয়ার নয়াদিল্লির প্রতিনিধিকে অবহিত করেন, ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত হলেও আজও এর বাস্তবায়ন হয়নি। ছয়টি অভিন্ন নদী- মনু, ধরলা, গোমতি, খোয়াই, দুধকুমার ও মুহুরির পানি বণ্টনের বিষয়েও তাগিদ দেন সচিব।

এদিকে ঢাকা-নয়াদিল্লির বৈঠক প্রসঙ্গে বুধবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদী দুই দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। উভয়পক্ষই নদীর পানি বণ্টন, দূষণ প্রশমন, নদীর তীর রক্ষা, বন্যা ব্যবস্থাপনা, অববাহিকা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি পানিসম্পদ বিষয়ক ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে। একটি যৌথ প্রযুক্তিগত কার্যনির্বাহী দল এ বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করবে।

এনআই/এসকেডি/আরএইচ