স্বজনদের আহাজারি

স্থানীয়ভাবে আয়োজিত মোটরসাইকেল স্টান্ট শো’র সময় রিকশা যেতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মহসিন নামে স্থানীয় একজনকে মারধর করে আয়োজকরা। এই মারধরের ‘শোধ’ নিতেই এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন মহসিনের ভাই সোহাগ (২২)। তাতেই খুন হন হাশেম খান। আহত হন ফাহিম ও রবিউল নামে আরও দুইজন। 

ঘটনার পরপরই গ্রেফতার সোহাগ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানান। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা মূল আসামিসহ ২৫ জনকে আটক করেছি। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।’

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৭ মার্চ) দুপুরের দিকে আগ্রাবাদের জাম্বুরী পার্ক এলাকায় সড়ক ভবনের সামনে কিছু যুবক পিকআপে সাউন্ড সিস্টেম ছেড়ে মোটরসাইকেল ও সাইকেল স্টান্ট করছিল। এ সময় স্থানীয় যুবক মহসিন ও অপু রিকশা করে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্টান্ট করা যুবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। 

মহসিন ওই এলাকায় বসবাস করায় স্থানীয় ১০-১৫ জন তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এর একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে এসে সোহাগ দেখেন তার ভাই মহসিনকে মারধর করা হচ্ছে। এ সময় পাশের চায়ের দোকান থেকে কনডেন্স মিল্কের বোতল কাটার ছুরি এনে এলোপাতাড়ি হামলা শুরু করেন সোহাগ। এতে তিনজন আহত হন। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়ার পর হাশেম খানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  নিহত হাশেম খান (৩৫) সাউন্ড সিস্টেমের সঙ্গে এসেছিলেন।

ওসি আরও বলেন, ঘটনা ঘটিয়ে সোহাগ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ঘটনার পরপর আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সোহাগ ছুরিকাঘাত করেছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে প্রযুক্তির সহায়তায় আগ্রাবাদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে  বেশ কয়েকজন কিশোর রয়েছে। এরমধ্যে একজন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।  

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। 

কেএম/এইচকে