মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকের ঘটনার জন্য ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয় স্বীকৃতি থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আয়োজনে ছিল বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম ও গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এদিন নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা নিয়ে ইতিহাসবিদ ও লেখকদের থেকে লেখা নিয়ে প্রকাশ করা উচিত। তাহলে মানুষের কাছে দিনটির গুরুত্ব আরও বেশি তুলে ধরা যাবে। প্রয়োজনে ইতিহাসবিদ, লেখকদের নিয়ে একটি সেমিনার করার পরামর্শ দেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি সৈনিকদের অনেক বড় ভূমিকা ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি ও পাক সেনারা বাঙালি সৈনিকদের খুব অবহেলা করত। অবজ্ঞার চোখে দেখত। তাদের কোনো মূল্যায়ন করা হতো না। বাঙালি সৈনিকদের ধিক্কারমূলক কথা বলা হতো। তাদের (সৈনিক) প্রতি এমন আচরণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য অনেক বড় সহায়ক ছিল।

তিনি বলেন, বাঙালি সৈনিকরাও মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বলা চলে তারা অনেকটা প্রস্তুত ছিল যুদ্ধে নামতে। সেই সময় বাঙালি সৈনিকদের পাক সেনাদের সামনের সারিতে রাখা হতো, যেন শুরুতে বাঙালি যোদ্ধাদের সঙ্গে বাঙালি সৈনিকদের যুদ্ধ হয়। মরলে ওরাই (বাঙালি) প্রথমে মরুক। কিন্তু বাঙালি সৈনিকরা বাঙালিদের ওপর গুলি চালাত না। তারা ফাঁকা ফায়ার করত। তারা আকাশের দিকে ফায়ার করত, যেন কোনো বাঙালি না মারা যায়।

অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের জন্য অনেক বড় প্রেরণার দিন। দিনটি নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে পার হয়। ইতিহাস সবসময় লিপিবদ্ধ করে রাখা দরকার। এতে পরবর্তী প্রজন্ম দেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

একে/এসএসএইচ