নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলমে বিরক্ত ইসি

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহের কাজে বিরক্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (১৯ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান সই করা চিঠিতে তাকে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

ইসি জানায়, সাম্প্রতিক সময়ের ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ তার অধীনস্ত জেলা, উপজেলা দপ্তরে কর্মকর্তাদের বদলি, পদায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এজন্য ইসি সচিবালয়ে প্রস্তাবনাও পাঠিয়েছেন। বিষয়টি অপরাধ হলেও প্রথমবার হওয়ায় কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল সতর্ক করা হয়েছে। সতর্কতার চিঠি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটায় সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সতর্ক হতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এর আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের গেজেটেড কর্মকর্তাদের বদলি, পদায়ন কার্যক্রম এককভাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এখতিয়ার। তারপরও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কোনরূপ নির্দেশনা ছাড়াই কয়েকজন কর্মকর্তাকে সুনির্দিষ্ট কর্মস্থলে পারস্পরিক বদলি/পদায়নের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে; যা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এতে আরও বলা হয়েছে, চিঠিটি অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার স্বাক্ষরে আদিষ্ট হয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে- যা প্রশাসনিক রীতি ও সরকারি পত্র যোগাযোগ নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই অবস্থায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক প্রণীত সাংগঠনিক কাঠামো ও কার্যবণ্টন তালিকার এখতিয়ার বহির্ভূত কার্যক্রম গ্রহণ না করা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পত্র যোগাযোগের ক্ষেত্রে সচিবালয় নির্দেশমালা/ সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ্ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আগে আমাদের এরকম প্রস্তাব পাঠিয়েছে এবং অতিরিক্ত সচিব স্যার আমাকে বলেছিলেন আপনার কোনও প্রস্তাবনা থাকলে পাঠাতে, সেজন্যই পাঠিয়েছিলাম। এখন বর্তমান কর্তৃপক্ষ আর চায়, তাই আর পাঠাবো না। কর্তৃপক্ষ আমাদের সতর্ক করেনি, বলেছে ভবিষ্যতে এভাবে না পাঠাতে। আমার অঞ্চলের উপজেলা অফিসাররা প্রস্তাব দিয়েছিল বিধায় আমি সচিবালয়ে পাঠিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের রি-অ্যারেঞ্জের প্রস্তাব দেই। এটা জাস্ট প্রস্তাব, কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিতেও পারে আবার নাও নিতে পারে। আজকে বলে দিলো এভাবে না পাঠাতে, আর পাঠাবো না। এখন থেকে অফিসারদের আবেদন সরাসরি ফরোয়ার্ড করে দেবো।’

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার অফিসিয়ালি যেভাবে স্মারক নম্বর দিয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছে, অফিসারের সই করা চিঠি তো এর আগে দেখি নাই। আগে ইন্টারনালি জানাতো। কিন্তু অফিসিয়ালি চিঠি দিলে সমস্যা হয়। অনেক অঞ্চল থেকে ইন্টারনালি দিয়েছে এবং তাদেরগুলো হয়েছে। কিন্তু উনি এভাবে দেওয়াতে সমস্যা হয়ে গেছে।’

এসআর/এসএম