জব্দ করা মোবাইল ফোনগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে

রাজধানীর যেসব স্থানে জনসমাগম বেশি হয়, সেসব এলাকায় আগে থেকেই অবস্থান নিত একটি ছিনতাই চক্র। এসব এলাকায় কেউ অসতর্কভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সুযোগ হাতছাড়া করত না চক্রটির সদস্যরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোবাইল নিয়ে পালাত তারা। 

প্রথমে মোবাইল ফোনগুলোর আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর পরিবর্তন করা হতো। এরপর অভিজাত মার্কেটগুলোর অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করত চক্রটির সদস্যরা।  

বুধবার (১৭ মার্চ)  রাতে শাহবাগের ফনিক্স রোড এলাকা থেকে এ চক্রের ১৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মূল্যের স্যামসাং, হুয়াওয়ে ও আইফোনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৮৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

গ্রেফতাররা হলো মো. মনির হোসেন (৪৬), মো. সোহেল মিয়া (৩৫), মো. হজরত আলী (৩৪), মো. সবুজ (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২), মফিজুল্লাহ (৩৬), ইমন মিয়া (১৯), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), ওয়াসিম হোসেন (২৭), মো. রুবেল হোসেন (২১), মো. তোফাজ্জল হোসেন (৫৫), মো. আমিন (৩৮), আতিকুল ইসলাম (৩৫) ও মো. তরিকুল ইসলাম বাবু (২৭)।

গ্রেফতার হওয়া সদস্যরা

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, রাজধানীর গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, গোলাপ শাহ মাজার ও মুগদা বাসস্ট্যান্ডসহ অন্যান্য ব্যস্ততম মোড়ে চক্রটি ছোঁ মেরে মোবাইল ছিনতাই করত। ছিনতাইয়ের পর নির্দিষ্ট মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে গিয়ে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা হতো। এরপর মোবাইলগুলো বিভিন্ন অভিজাত মার্কেটের অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করত। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

আইফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা যায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে তারা প্রায় সব মোবাইলেরই আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করত। ক্রেতাদের সতর্ক করে সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, অনুমোদিত ডিলার ও শোরুম থেকে মোবাইল ফোন কিনতে হবে। 

এমএসি/আরএইচ/এমএমজে