পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা: চট্টগ্রামে গ্রেফতার ৩
গ্রেফতার হওয়া তিন প্রতারক
প্রাইভেটকারে করে একসঙ্গে ঘুরতেন তিনজন। পরিচয় দিতেন পুলিশের কর্মকর্তা হিসেবে। সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়াই ছিল তাদের মূল কাজ। এমন প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রামের সদরঘাট থানা পুলিশ।
চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক নারীর দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার রাতে হিরন হাওলাদারকে (৩৫) চট্টগ্রামের পোস্ট অফিস গলি থেকে, বুধবার ঢাকা থেকে পিযুষ কান্তি সেন (৬৫) ও খোরশেদ আলমকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে তাদের বুধবার রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়,পুলিশের পরিচয় দিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে সবকিছু হাতিয়ে নিত। গত ১০ মার্চ সকাল ৭টার দিকে হোসনে আরা বেগম রেখা (৫৫) নামে এক নারী কালীবাড়ী মোড়ে পৌঁছলে ৭-৮ জন লোক তার গতিরোধ করে দাঁড়ায় ৷ এ সময় তারা নিজেকে পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে হোসনে আরা বেগমকে বলে ইসলামিয়া কলেজ মোড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজন মারিমারি করছে। সামনে যাওয়া যাবে না। সামনে গেলে আপনার সব স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। একপর্যায়ে প্রতারক চক্রের সদস্যরা হোসনে আরা বেগমকে বলে, আপনার কাছে থাকা স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সা ও মোবাইল সেট আমাদের কাছে জমা দিয়ে দেন। স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা জমার পরিবর্তে আমরা আপনাকে একটি কার্ড দিয়ে দিচ্ছি। পরে এসে আপনার জমা দেওয়া সব জিনিসপত্র থানা থেকে নিয়া যাবেন। এ সময় ওই নারী তাদের কথা বিশ্বাস করে সঙ্গে থাকা দুটি স্বর্ণের বালা ও একটি গলার চেইন দিয়ে দেন। একপর্যায়ে প্রতারকরা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সদরঘাট থানায় মামলা করেন।
ওসি সাখাওয়াত আরো বলেন, এই প্রতারক চক্রটি মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই ধরনের প্রতারণা করে আসছিল। এ চক্রে ছয়-সাতজন সদস্য আছে বলে জানা গেছে। মূলত সকালে তারা বয়স্ক নারীদের সঙ্গেই এ রকম প্রতারণা করত। এ চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
বিজ্ঞাপন
কেএম/এসকেডি