এনজিও কর্মী ধর্ষণ : জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় মহিলা পরিষদ
ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুরে গাক এনজিওর এক নারী কর্মীকে অফিসে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
তাতে বলা হয়, ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুরে নির্যাতনের শিকার ওই নারী গাক এনজিওর একজন কর্মকর্তা। একই অফিসের হিসাবরক্ষণ অফিসার মনির হোসেন ওই নারীকে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এ অনৈতিক কাজে এরিয়া ম্যানেজার জিল্লুর রহমান তাকে সহযোগিতা করেছেন।
গত ২৯ মার্চ (বুধবার) ওই নারীর কাছ থেকে মামলা না করার শর্তে সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় জিল্লুর রহমান। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার ওই নারী একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নির্যাতনের শিকার এনজিওকর্মী নারীকে দুদিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এনজিওর মত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানমূলক জায়গায় একই অফিসে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্তৃক একজন নারী-কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।
মহিলা পরিষদ মনে করে, সম্প্রতি নারী ও কন্যা-শিশুরা ঘরে বাইরে ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্তকরণসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা তাদের কর্মজীবন, স্বাধীন চলাচল, নিরাপত্তা ও অগ্রযাত্রার পথে বাধা সৃষ্টি করছে এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এসব ঘটনায় মামলাগ্রহণসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে এবং নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
জেইউ/এসএম