উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘স্বাধীনতা সড়ক’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় এ সড়ক
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মেহেরপুরের মুজিবনগর-কলকাতা সড়ক চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক কিলোমিটারের কম দীর্ঘ সড়কটির নাম দেওয়া হয়েছে `স্বাধীনতা সড়ক’। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে সড়কের নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে যাতে সড়কটি উদ্বোধন করা যায় তার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার (২০ মার্চ) সকালে মেহেরপুরের মুজিবনগরে নির্মিত ‘স্বাধীনতা সড়ক' পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম। এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করবেন। এসময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সড়কটির উদ্বোধন করবেন ।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, সুবিধাজনক স্থানে কাস্টমসের নামে ভূমি বরাদ্দ দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস সুবিধা দেওয়ারও চিন্তা রয়েছে। এজন্য ব্যাংক, স্বাস্থ্য, প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন সুবিধাসহ ইনটিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) নির্মাণ করা হবে। তবে সাময়িকভাবে ল্যান্ড স্টেশন চালুর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মুজিবনগরের স্কুল শিক্ষক ওবাইদুল হক বলেন, এই সড়ক চালু হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থী ও ভারতীয় নাগরিক জানতে পারবেন মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে শপথ নেয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট-জন, দেশি বিদেশি অসংখ্য সংবাদকর্মী ভারতের কলকাতা থেকে নদীয়া হয়ে এ পথ দিয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগর চলাচল করতেন। বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছিল। শপথ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করতে মুজিবনগরে ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সড়কটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এছাড়া আগামী ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মিত্রবাহিনীর ভারতীয় অতিথিদের স্বাধীনতা সড়কে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন ঢাকা পোস্টের মেহেরপুর প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান।
পিএসডি/এসকেডি