নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআ’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক ওয়ারেন্টভুক্ত নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

বুধবার (৩ মে) ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১২ এর ‘কে’ ব্লকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে সদরদপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, এটিইউ’র একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বরে অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে জেএমবির পলাতক আসামি উম্মে কুলসুম ওরফে তামান্না ওরফে পারুমী ওরফে পারুলকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার উম্মে কুলসুম ওরফে তামান্না রাজধানীর কদমতলী থানায় একাধিক মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি।

পুলিশ সুপার আসলাম বলেন, উম্মে কুলসুম ২০০৭ সালে সবুজ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে জেএমবির সক্রিয় সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিককে বিয়ে করে। এরপর থেকে সক্রিয়ভাবে জেএমবির বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করেন।

২০১০ সালে কদমতলী থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করার পর থেকে কুলসুম পলাতক ছিলেন। পলাতক থাকা অবস্থায় প্রথম দিকে কিছু দিন ঢাকার মগবাজারে তার এক বান্ধবীর বাসায় আত্মগোপনে থাকেন। পরে তিনি টঙ্গি এলাকায় বসবাস করে ইকরা মহিলা মাদরাসা, হুজুত আলী মাদরাসা এবং দারুল উলুম মহিলা মাদরাসায় চাকরি করেন। এই সময় উম্মে কুলসুম নিজের পরিচয়কে সম্পূর্ণরূপে আড়াল করার চেষ্টা করেন।

তিনি তার প্রকৃত পরিচয় গোপন করে গাজীপুর মির্জাপুর সিটপাড়ার ভোটার হন এবং নিজ নামসহ বাবা-মায়ের নাম পরিবর্তন ও নতুন জন্ম সনদ তৈরি করে ভোটার আইডি বানিয়েছেন। ভোটার আইডিতে তার নাম আসিয়া বলে উল্লেখ রয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, পরবর্তী সময়ে তিনি আসিয়া নামে সবার কাছে পরিচয় দিতেন। সর্বশেষ তিনি মিরপুর-১২ এলাকায় আসিয়া নামে বসবাস শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন মামলায় মোট তিনটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। গ্রেপ্তার উম্মে কুলসুম ওরফে তামান্নাকে আদালতে সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

জেইউ/এসএম